একসময় প্রায়ই ঝামেলায় জড়াতেন। সেটা ক্রিকেট মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে। কখনও দেশের প্লেয়ারের সঙ্গে তো কখনও বিদেশিদের সঙ্গে। এখন তাঁর মাথায় দেশের কোচিংয়ের দায়িত্ব। নিজেকেও অনেক ‘শান্ত’ করেছেন। এমন নয় যে এখনও ঝামেলায় জড়াতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু কেন ও কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন গম্ভীর?
দিল্লিতে চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট। আহমেদাবাদে প্রথম টেস্ট সহজেই জিতেছে। দিল্লিতেও অঘটন ঘটার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রথম দিনে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেন, “আমি এখনও আগ্রাসী। কিন্তু একটা বিষয়ে এখন বদল এসেছে। যখনই আমি আগ্রাসী হয়ে পড়ি, তখন প্রথম যেটা মাথায় আসে, চলো লড়ে নেওয়া যাক। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যে জিনিসটা সবার আগে মনে পড়ে, ঘরে বাচ্চা আছে।”
ক্রিকেট খেলার সময় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে একাধিকবার বচসায় জড়িয়েছিলেন গম্ভীর। আবার আইপিএল চলাকালীন বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর বিবাদের ঘটনাও যথেষ্ট বিতর্ক বাঁধিয়েছিল। সম্প্রতি রোহিতকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া নিয়ে গম্ভীরের দিকে আঙুল তুলছেন অনেকে। তার উপর হর্ষিত রানাকে নিয়মিত সুযোগ দেওয়া নিয়েও অসন্তুষ্ট ভক্তরা।
টেস্ট শুরুর আগে গম্ভীর গোটা দলকে তাঁর নয়াদিল্লির বাসভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গম্ভীরের বাড়িতে গিয়েছিলেন ভারতীয় দলের সকলেই। কিন্তু হঠাৎই দেখা যায় গম্ভীরের ‘প্রিয়পাত্র’ হর্ষিত রানাকে, যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে নেই। বিএমডব্লিউ চড়ে গম্ভীরের বাড়িতে আসেন তিনি। আগে জানা গিয়েছিল কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দলে থাকা ক্রিকেটারদের জন্যই। দলের প্রত্যেকে টিম বাস চেপেই গম্ভীরের বাড়ি যান। কিন্তু হর্ষিত আসেন দামি গাড়িতে। সেই নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে।
এবি/এসএন