রংপুরের আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। কমেন্টে তিনি লিখেছেন, তার শোধরানোর আশায় আগের পোস্ট ডিলিট করলেও তিনি শোধরাননি।
পোস্টের কমেন্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিথ্যা বলিনি।
নিছক সন্দেহের বশে লেখার তো প্রশ্নই আসে না। উল্লেখিত পোস্ট ডিলিট করে নিজের কাধে সব দোষ নিয়ে অপমানিত হওয়ার পথ বেছে নিয়েছিলাম সংশোধন এর আশায়। কিন্তু ভক্তদের অতিমাত্রায় তাকে নির্দোষ প্রমান করে যে, আস্ফালন তা তাকে পরিশুদ্ধ হতে দিচ্ছে না।’
তিনি বলেছেন, ‘হতে পারে আমার সত্য প্রকাশের ফলে আপনারা সচেতন হবেন এবং তিনি চূড়ান্ত রূপে সংশোধন হয়ে প্রকৃত অর্থেই কখনো দ্বীনের বড় উপকারে আসবেন।
আমি নানাভাবে আক্রমণের শিকার অলরেডি এবং আরো হবো জানি। আমি আমার পরওয়া করি না। আমি স্বার্থান্বেষী, নেইম-ফেইম বিলাসীও নই।’
ফেসবুকে মূল পোস্টে সাবিকুন নাহার সারাহ লিখেছেন, ‘এয়ার হোস্টেসদের মেবি সেলিব্রিটি পছন্দ, আর সেলিব্রিটিগণও মেবি এয়ার হোস্টেস ডিজার্ব করে।
আপনাদের উস্তাদ আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর পূর্বের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেস এর। তখন উস্তাদ ডেসপারেটলি তাকে চেয়েছিলেন নাকি, তখন তার টাকা নেই বলে পরিবার দেয়নি। এখন আবার জারিন জাবিন নামক ভদ্র মহিলা ডেসপারেটলি আপনাদের উস্তাদকে চাচ্ছেন।
‘পুরোনো প্রেম নতুন রূপে, একটু বেশিই ফিলিংসে ডুবেছেন। তারা নিয়মিত চ্যাট বক্সে ফিলিংস আদান-প্রদানসহ ঘন্টার পর ঘন্টা তার যিন্নুরাঈন সেন্টারে বসে বসে ফোনে কথা বলছেন।
আবার সে তার সাথে লং ড্রাইভে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন, সেন্টারে এসে অফিস রুমে সাক্ষাৎ করেন। আসলে আপনাদের দেয়া টাকায় গড়া তার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আয়োজন ও ক্লাসের নামে যেকোনো নারীর সাথে একান্তে মিট করার কারখানা। নারী পুরুষ একসাথে ক্লাস নেয়া’, যোগ করেন তিনি।
সাবিকুন নাহার বলেন, ‘যে কো-এডুকেশন শিক্ষার বিরোধিতা তার জবানে, অথচ তারই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার বিশাল আয়োজন। বিভিন্ন কোর্সের ক্লাসের নামে চলে মেয়েদের সাথে সরাসরি বসা আর আলোচনা করা, বেটার থেকে বেস্ট কাউকে খুঁজে নেয়া। (এগুলো থেকে খুব তাকে বিরত রাখতে চেয়ে অস্থির হতাম বিধায় আমাকে তার আশপাশের সকলের নিকট সবচেয়ে জঘন্য বানিয়েছে, নিজেই চিৎকার করে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে, নানা তোহমত চাপিয়ে দেয়)।’
তিনি বলেন, ‘যাইহোক আমার বিছানায় বসে প্রেম করেন এয়ার হোস্টেস নারীর সাথে তিনি মা শা আল্লাহ। সেন্টারে কাজ আছে বলে রাত ৩টায় বাসায় আসেন। এসে আবার জানান তিনি তার প্রেমিকার সাথে কথা বলেন। তিনি যা-ই করেন তা আবার গোপনের ধার ধারেন না, কারণ তিনিই সবচেয়ে বড়। এছাড়াও এয়ার হোস্টেস জারিন জেবিনের সাথে এঙ্গেজ হওয়ার পূর্বে রংপুরের আরেক মেয়ে যে কিনা, তাদের কোনো এক ওমরা প্রতিযোগিতার স্টুডেন্ট ছিলো আবার আলেমাও।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আপনাদের উস্তাদ সে মেয়েকে ইফতা পড়াবে তাকে নিয়ে দ্বীনের কাজ করবে,বিয়ে করবে ইত্যাদি কথা দিয়ে তার বাবা ভাইয়ের সাথেও কথা বলেছে। পরবর্তীতে যখন এই এয়ার হোস্টেসকে পেল, তখন আবার সেই আলেমা মেয়েকে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে আপনি বিয়ে করে নিন ভালো পাত্র পেলে। তখন সেই মহীয়সী নারী আবার উস্তাদের প্রেমে পাগল হয়ে ইন্তেজারের পথ বেছে নিয়েছে। উস্তাদও কথা দিয়েছে, বিয়ে করলে তাকেই করবে।’
এমন লিস্টের অভাব নেই উল্লেখ করে সাবিকুন নাহার লিখেছেন, ‘দেখা যাক ফাইনালি উস্তাদ কার হন। আমাকে প্রচন্ড প্রেশার দেয়া হয়েছে এ বিষয়গুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ এর জন্য। অনুকূলে না পেয়ে ২ বছর যাবৎ নানা রকম সিনক্রিয়েট করে তোহমত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট ফিল করছি না বিধায় এবারের অনলাইন তালিম স্থগিত করা হলো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ লা চাহেন তো আগামী মাসের প্রথম শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যথারীতি অনলাইন তালিম অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। উসমান আয়িশা সহ আমার জন্য দু'আর দরখাস্ত। বে-শাক আমি গুনাহগার। রবের ক্ষমার মুখাপেক্ষী। দয়ার মুখাপেক্ষী।’
টিজে/এসএন