তাইওয়ানের সামরিক কর্মকর্তাদের ধরিয়ে দিতে চীনের নগদ পুরস্কার ঘোষণা

তাইওয়ানের ১৮ জন সামরিক কর্মকর্তার মাথার দাম ঘোষণা করেছে চীন। বেইজিংয়ের অভিযোগ, এই কর্মকর্তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ পরিচালনা করছেন এবং 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' বার্তা ছড়াচ্ছেন।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ঠিক একদিন পরেই চীনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

শনিবার চীনের উপকূলীয় শহর জিয়ামেনের পুলিশ এই পুরস্কার ঘোষণা করে। এতে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিভাগের মূল সদস্য হিসেবে চিহ্নিত এই কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে সহায়তাকারী তথ্য দিলে ১৪০০ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের ছবি, নাম এবং পরিচয়পত্র নম্বর প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, তারা ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ওয়েবসাইট পরিচালনা, স্বাধীনতার পক্ষে অনলাইন গেম তৈরি এবং বিভ্রান্তিকর ভিডিও সামগ্রী তৈরি করে আসছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে চীনা সরকারের "স্বৈরাচারী ও একগুঁয়ে মানসিকতা" বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরি এবং "জ্ঞানভিত্তিক যুদ্ধ" পরিচালনার জন্যই বেইজিং এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

শুক্রবার তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের ভাষণে প্রেসিডেন্ট লাই নতুন 'টি-ডোম' আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা উন্মোচন করেন এবং চীনকে শক্তির হুমকি পরিত্যাগ করার আহ্বান জানান। এর পরেই বেইজিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন প্রেসিডেন্ট লাই-কে "সমস্যা সৃষ্টিকারী, বিপদ সৃষ্টিকারী এবং একজন যুদ্ধবাজ" বলে অভিহিত করেছেন।

বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের অংশ বলে দাবি করে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপটির ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। তবে এই পুরস্কার ঘোষণার তেমন কোনো বাস্তব কার্যকারিতা নেই, কারণ তাইওয়ানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে চীনে যান না এবং দ্বীপটির ওপর বেইজিংয়ের আইনি ব্যবস্থার কোনো কর্তৃত্ব নেই। এর আগে জুন মাসেও চীন ২০ জন সামরিক হ্যাকারের বিরুদ্ধে একই ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, যা তাইওয়ান উপেক্ষা করে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

আইকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিমানবন্দর সড়কে নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম! Oct 11, 2025
img
বিএনপি সরকারে এলে জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করবে : শামা ওবায়েদ Oct 11, 2025
img
জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাংবাদিকদের অবারিত স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে: আজাদ মজুমদার Oct 11, 2025
img

সামান্তা শারমিন

শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাগুলোকে আইডেন্টিফাই করতে হবে Oct 11, 2025
img
রোববার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু Oct 11, 2025
img
মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ইরানের Oct 11, 2025
img
জামায়াত সৎ মানুষদের মনোনয়ন দিয়েছে : এটিএম আজহার Oct 11, 2025
img

জিল্লুর রহমানের বিশ্লেষণ

আবারও ভেল্কিবাজি, রাজনীতিতে কালো ছায়া Oct 11, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিলো চীন Oct 11, 2025
img
গাজায় চালু হচ্ছে ব্যাংকিং কার্যক্রম Oct 11, 2025
অনুশীলনের মাঝেই ৬ কোটি টাকার ক্ষতি রোহিতের Oct 11, 2025
ব্যারিস্টার নুসরাতের হাতে আংটি পরালেন ইশরাক Oct 11, 2025
কি কারণে রাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী? Oct 11, 2025
নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলে ভিন্নমত বিশেষজ্ঞদের! Oct 11, 2025
চাকরি হারিয়ে যা বলছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা! Oct 11, 2025
img
এনসিপি দ্বায়িত্বে এলে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে: সারজিস Oct 11, 2025
img
৩ ট্রিলিয়ন ডলারের হালাল বাজারেও পিছিয়ে বাংলাদেশ Oct 11, 2025
img
আওয়ামী লীগকে দলে ভেড়াতে সব দল উঠেপড়ে লেগেছে : ডিআইজি পলাশ Oct 11, 2025
img
ফুটবল খেলা শেষ হতেই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ৪ Oct 11, 2025
img

প্রেস সচিব

প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর কোনো সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিকল্পনা নেই Oct 11, 2025