ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের পরিচিত মুখ মনামী ঘোষ ছোট ও বড় পর্দায় প্রশংসিত কাজ করেছেন বহুবার। ‘বেলাশেষে’ সিনেমার ‘পিউ’ চরিত্রে যেমন মন জয় করেছেন দর্শকদের, তেমনই সৃজিতের ‘পদাতিক’-এ প্রখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেনের স্ত্রী ‘গীতা’ চরিত্রেও নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তার শারীরিক সৌন্দর্য? সে কথা আলাদা।
সাম্প্রতিক সময়ে মনামী নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ‘লক্ষ্মী মেয়ে’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বরাবরই আমি লক্ষ্মী মেয়ে। ভালো শ্রোতা, সবার কথা মন দিয়ে শুনি। গুরুজন বা শুভাকাঙ্ক্ষীরা পরামর্শ দিলে সেটা অবশ্যই গ্রহণ করি, তবে কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ, সেটা নিজের বিচার-বিবেচনা, যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে ঠিক করি। এই অর্থে আমি লক্ষ্মী মেয়ের পাশাপাশি দুষ্টুও বটে।’
ঘরের কাজে পারদর্শী নন, এ কথাও মনামী অকপটে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ঘরকন্নার কাজে নিয়মিত পারদর্শী নই। তবে কেউ আমাকে কিছু গুছিয়ে দিতে বললে, তা করতে পারব। দু-এক দিন হয়ত বিশেষ রান্না করে খাওয়াতে পারি, কিন্তু প্রতিদিন তা সম্ভব নয়। এই মিশেলেই আমি, কিছুটা ‘লক্ষ্মী’, কিছুটা ‘অলক্ষ্মী’। আমি চাইলে দারুণ খাবার অর্ডার করতেও পারি।’
মনামী আরও বলেছেন, লক্ষ্মী মেয়ের সংজ্ঞা শুধু ঘরকর্ম নয়, বরং জীবনের সব ক্ষেত্রকে ব্যালেন্স করার ক্ষমতা। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে প্রতিবারই লক্ষ্মীপূজা করি। আমার কাছে লক্ষ্মী মেয়ের মানে হলো, সবটা সুন্দরভাবে সামলানো, মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধান করা এবং যার সঙ্গে কথা বললে মন ভালো হয়ে যায়। এমন অনেক লক্ষ্মী আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছেন।’
নিজের কাজের ক্ষেত্রেও মনামী লক্ষ্মীলাভকে গুরুত্ব দেন, তবে সবসময় তার লক্ষ্য তা নয়। তিনি বলেন, “সদ্য আমার মিউজিক ভিডিও লঞ্চ হয়েছে।কিন্তু লক্ষ্মীলাভের আশায় কাজ করি না। দর্শকের ভালোবাসা এবং মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকলেই সেটি নিজে থেকেই আসে। তাই ‘আইলো উমা বাড়িতে’ বা ‘কল্কি’ মিউজিক ভিডিও দিয়ে মনের খিদে মিটিয়েছি।”
অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে, ডিডি বাংলার ‘সাতকাহন’ সিরিয়ালের মাধ্যমে। এরপর দুই যুগ ধরে ধারাবাহিক, চলচ্চিত্র ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করে আসছেন। উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক, ‘সোনার হরিণ’, ‘এক আকাশের নিচে’, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘বিন্নি ধানের খই’, ‘পুণ্যি পুকুর’, ‘আমলকী’, ‘ইরাবতীর চুপকথা’।
বড় পর্দায় ২০০৪ সালে ‘কালো চিতা’ সিনেমার মাধ্যমে পা রাখেন মনামী। এরপর ‘এক মুঠো ছবি’, ‘বক্স নাম্বার ১৩১৩’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘বেলাশেষে’, ‘মাটি’, ‘বেলাশুরু’, ‘পদাতিক’ এর মতো সিনেমায় কাজ করেছেন। পাশাপাশি, তার গানের দক্ষতাও কম নয়।
এমআর/টিকে