সেনাবাহিনী ‌‘ন্যায়ের পক্ষে অটল থাকবে’: সেনাসদর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারির পরোয়ানা জারির ঘটনায় সেনাবাহিনী নৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। তবে সেনাবাহিনী ন্যায়ের পক্ষে অটল থাকবে।


শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

তিনি বলেন, পুরো জাতি এখন নির্বাচনমুখী। গত ১৩-১৪ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নে সেনাসদস্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিমাণ তিন গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ট্রেনিং, পোস্টিং, প্রমোশনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।

হাকিমুজ্জামান বলেন, উদাহরণ দেই, আমাদের প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারির ফার্স্ট উইকে অর জানুয়ারির লাস্ট উইকে ট্রেনিং কোর্সগুলো চালু হয়, আমরা সেগুলোকে রিশিডিউল করে নিচ্ছি আগামী বছর নির্বাচনকে অ্যাডজাস্ট করে। এ ধরনের যাবতীয় যা প্রিপারেশন আমরা নিচ্ছি, এর ভেতরে এই আইসিটি... (সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারির পরোয়ানা) ডেফিনেটলি, অবশ্যই অবশ্যই এটা আমাদের মোরাল এফেক্ট করেছে এটা অস্বীকার করব কেন? বাট অ্যাট দ্য সেম টাইম, আমি এটাও বলে দিচ্ছি, সেনাপ্রধান আমাকে আবারও বলে দিয়েছেন, আমাদের সবসময় বলেন, সেটা হচ্ছে  ‘উই উইল রিমেইন স্ট্যান্ড ফাস্ট উইথ দ্য জাস্টিস, ইভেন উই কমপ্রমাইজ অব আওয়ার সামথিং, বাট ইনসাফের কোনো কমতি হবে না।’

অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল আরও বলেন, অবসরে যাওয়া যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারির পরোয়ানা রয়েছে, তাদের পুলিশ চাইলে গ্রেফতার করতে পারে। আমরা শুধু বলেছি, যদি তারা আমাদের হেফাজতে আসতে চায়, তাহলে সেটাও সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, অবসরপ্রাপ্তরা সরাসরি সেনাসদর দপ্তরের অধীন নন।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সচিবালয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Oct 12, 2025
img
৫০০ কোটির সাফল্যের পরও ঋষভের পা মাটিতে Oct 12, 2025
img
পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা ইন্ধন দিয়েছিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 12, 2025
img
নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন হচ্ছে: মির্জা ফখরুল Oct 12, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক চলছে Oct 12, 2025
img
দুলকার সালমানের প্রযোজনায় নতুন ইতিহাস! Oct 12, 2025
img
খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক Oct 12, 2025
img
জয়পুরহাটে বিএনপির তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর শোডাউন Oct 12, 2025
img
বিশ্বজুড়ে কাঙ্ক্ষিত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে তরুণদের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Oct 12, 2025
img
অভিষেক শর্মাকে ৬ বলের মধ্যেই আউট করার চ্যালেঞ্জ দিলেন ইহসানউল্লাহ Oct 12, 2025
img
রাজধানীতে হিট অফিসার বুশরার সিসা বার Oct 12, 2025
img
আরেক মেয়াদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ রাষ্ট্রপ্রধান পল বিয়া Oct 12, 2025
img
সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাদাগাস্কারে ছাত্র-জনতার সাথে যোগ দিলো সেনাবাহিনী Oct 12, 2025
ছাত্রলীগ করে আসা নুর-সারজিস-হাসনাতরা জাপাকে ভয় পায় Oct 12, 2025
img
সেনাবাহিনীকে নিয়ে জামায়াতের আমিরের মন্তব্য Oct 12, 2025
img
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান আহমদ তৈয়্যবের Oct 12, 2025
img
আরবী গানের রাজা আমর দিয়াব পা রাখলেন ৬৪ বছরে Oct 12, 2025
img
মসজিদের কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করল সৌদি সরকার Oct 12, 2025
img
ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ায় অবাক হইনি: জাদেজা Oct 12, 2025
img
সচেতনতা আর টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা Oct 12, 2025