জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘গণভোট নিয়ে এখন আর বিতর্কের সুযোগ নেই। কারণ সমস্ত রাজনৈতিক দল লম্বা আলোচনা করে প্রথমে জুলাই সনদ তৈরি করেছে। জুলাই সনদ কিভাবে বাস্তবায়ন করবে সেটাও অনেক জটিল এবং সূক্ষ আলোচনা করে গণভোটের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এখনো পর্যন্ত গণভোটের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
কিন্তু গণভোট এর মধ্য দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করব। এ ব্যাপারে সারা দেশের মধ্যে একটা জাতীয় ঐক্য ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে।’
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আইনি প্রশ্নের ক্ষেত্রে যে আলোচনাটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে হয়েছে, এই গণভোটটা বাংলাদেশে একটা এক্সট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশনের মধ্যে হচ্ছে।
এ ধরনের গণভোটের আর নজির নেই। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে তিনটা গণভোট হয়েছে। দুইটা প্রশাসনিক একটা সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত। কিন্তু এই গণভোটটা হচ্ছে সংবিধানের এবং শাসন ব্যবস্থার একটা মেজর রিফর্ম সেই ধরনের গণভোট।’
তুষার বলেন, ‘আমাদের বর্তমান সংবিধানে যেটা গণভোট ছিল ১৪২ অনুচ্ছেদে সেটা শেখ হাসিনা সরকার বাতিল করেছিল। সেটাকে আবার এখন পুনর্বহাল করা হলেও কার্যকর করা হয় নাই। এটা নেক্সট পার্লামেন্টে কার্যকর হবে। ওই গণভোটের স্কোপ খুব লিমিটেড। সংবিধানের কিছু স্পেসিফিক ধারা সংশোধন করার ক্ষেত্রে ওই গণভোটটা আয়োজন করতে হবে।
এখন যে গণভোটটা হচ্ছে এটা হচ্ছে বিদ্যমান সংবিধানের অনেকগুলো বেসিক স্ট্রাকচারকে পরিবর্তন করে শাসন ব্যবস্থার একটা বড় ধরনের পরিবর্তন।’
তুষার আরো বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনীর স্কোপও খুব লিমিটেড। এটা দিয়ে শুধু এমেন্ড করতে পারবেন সেটাও আবার যদি সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে বাতিল হয়ে যেতে পারে বা হয়েছে বাংলাদেশে অতীতে। এখন যে জিনিসগুলো আসছে সেটা হচ্ছে এই সংবিধানের অনেকগুলো বেসিক স্ট্রাকচারকেই পুনর্লিখন করে এই ধরনের ব্যাপার। গণভোটের ক্ষেত্রে একটা কথা কমিশনে এসেছে যে, জাতীয় ইস্যুতে গণভোট করা যাবে না এমন কোনো বিধিনিষেধ সংবিধানে নাই। সুতরাং করা যাবে।’
কেএন/টিকে