ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চারপাশে ফুটপাত ও প্রধান সড়ক দখল করে ফের গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকানপাট। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চালানো উচ্ছেদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারও পুরানো রূপে ফিরে এসেছে ওই এলাকা। এতে প্রতিদিনের মতোই সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ ভিড় ও যানজট, আর বিপাকে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট থেকে নতুন ভবনের সামনে পর্যন্ত ফুটপাত ও সড়কজুড়ে সারি সারি দোকান বসানো হয়েছে। জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে ‘ডে-নাইট ফার্মেসি’ ঘেঁষে চা-সিগারেটের দোকান, পাশে রোগীদের জন্য স্যুপের দোকান, কাটা ফল ও ঠান্ডা পানি বিক্রি হচ্ছে।
এমনভাবে ফুটপাত দখল হয়ে গেছে যে, হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষা পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে।
একজন দোকানি জানালেন, আমরা গরীব মানুষ। অভিযান হলে কিছুক্ষণ দোকান গুটিয়ে যাই, কিন্তু কোথাও বসার জায়গা নেই, তাই আবার ফিরে আসি।
স্থানীয়রা বলছেন, ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান এখন নিয়মিত হলেও তার স্থায়ী কোনো প্রভাব পড়ে না। এক-দুই ঘণ্টা বা একদিনের মধ্যেই দোকানগুলো আগের অবস্থানে ফিরে আসে।
প্রশাসনের, বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবের কারণে ফুটপাত ও সড়ক দখলের এই অব্যাহত মহাউৎসবে মেতে উঠেছে হকাররা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা মেডিকেল সংলগ্ন ফুটপাত এবং প্রধান সড়কের দখল সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশন কাজ করছে। ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, একদিনেই পুরো ফুটপাত দখলমুক্ত করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমরা একটি স্থায়ী সমাধান বের করেছি। আমরা চাই, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, সড়ক-ফুটপাতে কোনো ধরনের ময়লা, আবর্জনা বা ফুটপাত দখলের সমস্যা না থাকে। বিশেষ করে জরুরি বিভাগের দুই পাশে শহীদ মিনার বহির্বিভাগ গেট পর্যন্ত এলাকা নতুনভাবে সাজানো হবে। ল্যান্ডস্কেপিং, ঝর্ণা লাইট, গোলাকার বসার বেঞ্চ এবং স্থায়ী সিমেন্টের বসার জায়গা তৈরি করে পুরো এলাকাকে সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও পরিবেশবান্ধব করা হবে। কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, আগামী ১০–১৫ দিনের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হবে।
টিজে/এসএন