এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরে শিরোপা জিতেছিল রংপুর বিভাগ। দ্বিতীয় আসরে সেই শিরোপা ধরে রাখল আকবর আলীর দল। শিরোপার মঞ্চে খুলনা বিভাগকে হেসেখেলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি।
রোববার (১২ অক্টোবর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে খুলনাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টান দ্বিতীয়বার এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতেছে রংপুর।
শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৯ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দারুণ হয় রংপুরের। ওপেনিংয়ে অভিজ্ঞ নাসির হোসেন এবং জাহিদ জাভেদ শুরুতেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। পাওয়ারপ্লেতে দুজনে মিলে তোলেন ৫৫ রান। সেখানেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা।
পাওয়ারপ্লের পরপর জাভেদকে ফেরান শেখ পারভেজ জীবন। আর দলীয় ৮৪ রানে আউট হন নাসির হোসেন। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৬ রান করে আফিফ হোসেনের শিকার হন তিনি।
নাসিরের বিদায়ে রংপুর শিবিরে কিছুটা দুশ্চিন্তা ভর করলেও নাইম ইসলামকে নিয়ে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আকবর। ৩১ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন আকবর। ১৫ বলে ১৯ রান করেন নাইম।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা। ইমরানুজ্জামানকে শুন্য রানে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে ফেলে খুলনার ব্যাটাররা। নাসির হোসেন, নাসুম আহমেদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কোনো পাত্তাই পাচ্ছিলেন না সৌম্য সরকার এবং এনামুল হক বিজয়। পাওয়ারপ্লেতে কেবল ১৯ রান করতে পারে খুলনা।
দলীয় ১৯ রানের মাথায় রানআউটে কাটা পড়েন এনামুল হক বিজয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১২ রান। সৌম্য সরকার খেলছিলেন একটু ধীরগতিতেই। ২২ বলে মাত্র ৮ রান করে বিদায় নেন আবু হাসিমের বলে বোল্ড হয়ে।
আফিফ হোসেন ফিরেছেন দ্রুতই। ১০ বলে ১৪ রান করে ইকবাল হোসেনের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেখ পারভেজ জীবন ফেরেন ৯ বলে ৮ রান করে। এনামুল হকের বলে নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তাকে সঙ্গ দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
১৩ বলে ২৪ রান করে আলাউদ্দিন বাবুর বলে বদলি খেলোয়াড় রাফিউজ্জামান রাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরে মৃত্যুঞ্জয়।
এরপর টিকতে পারেননি মিঠুনও। ৩২ বলে ৪৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান আব্দুল্লাহ আল মামুন। শেষদিকে আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থাকে খুলনার ইনিংস। রংপুরের হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন নেন দুটি উইকেট। এছাড়া নাসুম, আবু হাসিম, ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ এনামুল ও আলাউদ্দিন বাবু নেন একটি করে উইকেট।
এমআর/এসএন