যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন দেখল মার্কিন শেয়ারবাজার। শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটে নেমে আসে এক ঐতিহাসিক ধস, যার মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া বাণিজ্যিক উত্তেজনা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চীন প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিলের ঘোষণা।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, শুক্রবার দিনের শেষে ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচকগুলো এপ্রিলের পর সবচেয়ে দ্রুত পতনের মুখে পড়ে। এর ফলে সপ্তাহজুড়ে বাজার থেকে অর্জিত সব লভ্যাংশ উবে যায়। বিশ্লেষকরা এটিকে ২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় বাজার ধস বলে রেকর্ড করেছেন।
শি চিন পিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল এবং চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি বিশ্ববাজারে তাৎক্ষণিক ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। দিনের শেষে প্রধান সূচকগুলোর পতন ছিল নিম্নরূপ:
ডাও জোন্স: ৯০০ পয়েন্ট বা ২.৪ শতাংশ নেমে যায়।
নাসডাক: ৩.৫ শতাংশ পড়ে যায়।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০: ২.৫ শতাংশ কমে যায়।
এই ধসে প্রযুক্তি খাতেও বিপর্যয় নামে—বিশেষ করে কোয়ালকমের শেয়ার প্রায় ৭ শতাংশ কমে যায়।
বাজার অস্থিরতার পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে ট্রাম্পের নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এর পোস্ট। ট্রাম্প সেখানে জানান, "বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।" একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে দেন যে, প্রশাসন এখন চীনা পণ্যের ওপর "বৃহৎ মাত্রায় নতুন শুল্ক আরোপের" পরিকল্পনা বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরও গভীর করবে এবং দুই পরাশক্তির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। ট্রাম্পের ঘোষণার পরই বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ইএ/টিএ