জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটসহ ৭ দাবিতে জাগপার মানববন্ধন

জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, আদেশ জারি ও গণভোট আয়োজন, গণহত্যার বিচার, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল নিষিদ্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ সাত দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এই দাবি জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, যুবনেতা শ্যামল, বাবলুসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

রাশেদ প্রধান বলেন, আগামী ১৭ তারিখে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হচ্ছে—কিন্তু এটি কেবল আনুষ্ঠানিকতাই হবে; স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষকে সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে হবে। সনদ বাস্তবায়নের পরে দেশের জনগণের মাঝে গণভোট আয়োজন করা হলে ওই সনদকে আইনগত বৈধতা দেওয়া যাবে।

জাগপার এই মুখপাত্র বলেন, যদি জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে বা একই সময়ে সনদের ওপর গণভোট নেওয়া হয় তবে নির্বাচনের গুরুত্বের ভেতরে সেই গণভোট গৌণ হয়ে যাবে। সে কারণে স্বাক্ষর-অনুষ্ঠানের পরে দ্রুত বাস্তবায়ন-আদেশ জারি করে, নভেম্বর বা ডিসেম্বরের মধ্যে আলাদা গণভোট আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক বক্তব্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথম থেকে জাগপা পিআর পদ্ধতিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি অব্যাহত রাখছে এবং এটিকে দেশের গণতন্ত্র ও মৌলিক পরিবর্তনের একমাত্র বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করে।

তিনি আরও বলেন,আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাথে সাথে সেই আওয়ামীলীগের ‘দোসর’ হিসেবে আখ্যায়িত জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলেরও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গণগত হওয়া উচিত এবং ভবিষ্যতে পুনরায় কোনো স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

দেশের জনগণকে সচেতন থেকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে তারা আবারও রক্ত দিতেও পিছপা হবে না। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষা ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য কঠোর অবস্থান সব সময় বজায় রাখবে।

ইউটি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো জাপান Oct 14, 2025
img
সরাসরি ভোটে কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন পাবেন : সেলিমা রহমান Oct 14, 2025
img
অগ্নিদুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Oct 14, 2025
img
বোলিং বিভাগে উন্নতি রাবেয়া-ফাহিমার, ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক মোস্তারি Oct 14, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষ Oct 14, 2025
img
রাজনীতিবিদ সুরেশ গোপীর পদত্যাগে মুখ খুললেন কঙ্গনা Oct 14, 2025
img
সাড়ে ৫ হাজার টাকার বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল Oct 14, 2025
img
সাড়ে ৫ হাজার টাকার বেতনে শুরু করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান Oct 14, 2025
img
এদেশের মানুষ পিআর সিস্টেম বুঝে না : ভূঁইয়া দিপু Oct 14, 2025
img
রাতে মাজারগেটেই অবস্থান করবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা Oct 14, 2025
img

ধর্ম অবমাননা

নর্থ সাউথের অপূর্ব ৫ দিনের রিমান্ডে Oct 14, 2025
img
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরো ৫ জনের, হাসপাতালে ৮৪১ Oct 14, 2025
img
চঞ্চল, সাবিলা ও রাজ একসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের গল্পে Oct 14, 2025
img
রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ডব্লিউএফপির Oct 14, 2025
img
জালিয়াতির অভিযোগে ইউএনও বিমল চাকমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের Oct 14, 2025
img
মার্কিন শুল্কে বিপাকে ভারত, ইউরোপে নতুন বাজারের সন্ধান Oct 14, 2025
img
মিরপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বিজিবি Oct 14, 2025
img
এবার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তি অনুষ্ঠানে থাকবেন ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Oct 14, 2025
img
ভাইরাল ভিডিও থেকে সফল অভিনেত্রী, দানানিনের সাফল্যের গল্প Oct 14, 2025