রাজনীতির ময়দান থেকে বলিউড নিয়ে নানা মন্তব্য সব ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সময় বিস্ফোরক হয়েছেন রাজনীতিবিদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সাম্প্রতিককালে তিনি বলেছিলেন রাজনীতিতে কোনও অন্য পেশার মানুষ এলে তাঁর সমস্তরকমের শখ-আহ্লাদ ত্যাগ করেতে হয়। তাঁর কথাতেই স্পষ্ট হয়েছিল যে রাজনীতি তিনি সেভাবে উপভোগ করছেন না। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপীর পদত্যাগের পর ফের মুখ খুললেন কঙ্গনা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপীর পদত্যাগ করার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘রাজনীতি একটি অত্যন্ত রুক্ষ পেশা। শুধু তা নয় এই পেশার পারিশ্রমিকও অত্যন্ত কম। এই পেশায় নিজের অনেক খরচ করতে হয়। কিন্তু শিল্পী বা অন্য পেশা থেকে রাজনীতিতে আসা মানুষদের তাঁদের অন্য ক্ষেত্রে কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও তা নিয়েও তাঁদের অনেক কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়। এরকম হলে কখনও কেউ অন্য পেশায় সাফল্য লাভের পর আর রাজনীতিতে আসতে চাইবে না। এক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি পালটানো দরকার। যাতে অন্য পেশা থেকে কেউ এলেও যেন তিনি নিজের আগের পেশার কাজ একইভাবে করে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করা।’
মান্ডির সাংসদ পদপ্রাপ্তির বছর ঘুরতে না ঘুরতে রাজনীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন নেত্রী তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এক পডকাস্টে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বলেন, কঙ্গনার দাবি, “রাজনীতি একটি দামি শখ তার কারণ আপনি যদি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হন তাহলে আপনার জন্য রাজনীতি আর পেশা হিসাবে থাকবে না। আপনার সেক্ষেত্রে একটি চাকরিরও দরকার পড়বে পাশাপাশি। আপনি যদি একজন সৎ মানুষ হন তাহলে তো আপনাকে অবশ্যই একটি চাকরি খুঁজতেই হবে রাজনীতি করার পাশাপাশি। কারণ রাজনীতি করে যা উপার্জন হয় তাতে জীবনধারণ করা ভীষণই কঠিন। একজন সাংসদ যে বেতন পান তাতে তাঁর সঠিক জীবনযাপনে অনেক সমস্যা আসবেই। আসতে বাধ্য।” এ দেশে একজন সাংসদের বেতন ১.২৪ লক্ষ টাকা।
এই নিয়ে কঙ্গনা আরও বলেছেন, “এই দেশে একজন সাংসদকে বেতন দেওয়া হয় তার থেকে বাড়ির সহকারীদের বেতন দেওয়ার পর ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা মতো হাতে থাকে। এরপর সেই টাকায় কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে গেলেও অনেক খরচ পড়ে। কারণ সেসব জায়গা অনেকটা দূরে। কোনও কোনও জায়গা তো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তাই রাজনীতি করার পাশাপাশি আপনাকে কোনও না কোনও পেশায় যুক্ত থাকতে হবে। যেমন বহু সাংসদ রয়েছেন যাঁরা আইনজীবি বা যাঁদের কোনও ব্যবসা রয়েছে।”
এসএন