চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচন নিয়ে ৮টি অভিযোগ তুলে ধরেছে ‘অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগগুলো তুলে ধরেন প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী ফরহাদুল ইসলাম।
তাদের আট অভিযোগ হচ্ছে–অমোছনীয় কালির ব্যবহার না করা, অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের জন্য অনুমোদিত কোনো পর্যবেক্ষক লিস্ট না দেওয়া, আইটি ভবনের ৩০৯ নম্বর ভোটকক্ষের সামনে রাখা টেবিলে একটি নির্দিষ্ট প্যানেলের লিফলেট রাখা, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অশোভন আচরণ, প্রবেশের সময় ছবিযুক্ত আইডিকার্ডগুলো চেক না করা, দীর্ঘক্ষণ সায়েন্স ফ্যাকাল্টির এলইডি বন্ধ থাকা, স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট পেপার দেওয়া ও বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত চাকসু নির্বাচনের আয়োজনের পর আমরা মনে করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীর ছাত্ররাজনীতি পরিবর্তন হবে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে সবার মাঝে বৈষম্যহীন মানসিকতা সৃষ্টি হবে। তবে চাকসু নির্বাচনের শুরুতে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি থাকলেও প্রশাসনের একপেশে আচরণ, বিভিন্ন প্রার্থীর শৃঙ্খলা ভঙ্গের আপত্তিকর বিষয় সামনে এসেছে। যা এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবনের ২১৪ নম্বর কক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষরবিহীন প্রায় ২০টির অধিক ব্যালট পেপার বাক্সে প্রবেশ করানো হয়। দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানানোসহ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি।। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে উদ্দেশ্যমূলক ছাপানো প্যানেল কপি রেখে আসার অভিযোগ করেছে অসংখ্য ভোটার। প্রিজাইডিং অফিসার। এই ঘটনা জানার পরও কোনো পদক্ষেপ নেননি।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্যানেলভুক্ত একজন প্রার্থীর দেওয়া তথ্যমতে, বিবিএ ফ্যাকাল্টি ভবনের ৬৩৫ নম্বর রুমে ইতিমধ্যেই জোট প্রদান করা একজন ভোটারের আইডি কার্ড নিয়ে একজন ভোট দেয়ার চেষ্টা করেছে। এ ছাড়া চাকসু নির্বাচনে অনেকগুলো ভোটপ্রদান কক্ষে ভোটারদের ব্যালট পেপার নেওয়ার পর স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।
ইউটি/টিএ