বঙ্গোপসাগর এবং সুন্দরবনের নদীগুলোতে ইলিশ মাছ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরেই ইলিশের প্রজনন যথাযথ পরিবেশ রক্ষা এবং মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ১১ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চল এবং দীঘা থেকে জেলেদের ট্রলার পাড়ি দিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে।
এসব ট্রলারের মধ্যে বেশ কিছু ট্রলার নামখানা, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ ছাড়াও দীঘায় ফিরেছে। এতে দেখা গেছে জেলেদের জালে একটু বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়েছে।
তবে ইলিশ ধরা পড়লেও এখনো বড় সাইজের ইলিশ খুচরা বাজারে আসছে না। যেসব ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে সেগুলো একটু বড় সাইজ হওয়ার কারণে জেলেদের ধারণা আরও ইলিশ মাছ রয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
যেসব ইলিশ ধরা পড়েছে সেগুলো প্রায় এক কেজি ওজন বা তার থেকে একটু কম ওজনের। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১২ শো রুপি থেকে ১৩ শো রুপিতে। এছাড়াও একটু ছোট সাইজের অর্থাৎ ৮০০ গ্ৰাম থেকে ৯০০ গ্ৰামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার রুপিতে।
কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহর উশুমপুর বটতলা মাছের বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা লক্ষন পাল জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এখন আবার হঠাৎ করে ইলিশ মাছ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, তবে দাম একটু বেশি। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আরও ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে এবং দাম অনেকটাই কমে আসবে।
যেহেতু জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে তাই সব ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এমনটাই জানিয়েছেন মৎস্যজীবী সংগঠনের সভাপতি আলোক হালদার। তার মতে, দীর্ঘ ১১ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে ইলিশ মাছ ধরা হয়নি। সে কারণে জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। শীতের মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ধীরে ধীরে ইলিশ জালে কম ধরা পড়বে। ফলে আমরা যতটা সম্ভব আপ্রাণ চেষ্টা করবো যেন বেশি সংখ্যায় ট্রলার পাঠিয়ে ইলিশ মাছ ধরে আনা সম্ভব হয়।
টিজে/টিকে