পূর্ণ মেয়াদে বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে নির্বাচনের পর ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সংগঠকরা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব লিগ বর্জনের ঘোষণা দেন। গেল ৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মোহামেডান ক্লাবের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান।
এ ছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো তামিম ইকবালও। স্পষ্ট করে জানানো হয় বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ থাকায় ঘরোয়ার কোনো লিগে খেলবেন না তারা। এবার এসব লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসেছে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব। সেই বৈঠক গতকাল রাতে একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ছিলেন তামিম ইকবালও। পরে কোয়াব সভাপতি মিঠুন বলেন, 'আমরা আজ (গতকাল) বসেছিলাম, ২ ঘণ্টার বেশি আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের চিন্তাই আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি ছিল, তাদের আমরা অনেকখানি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে ক্রিকেট বন্ধ হওয়া যাবে না, অনেকের রুটি-রুজির ব্যাপার আছে।'
তামিমের বড় রোল প্লে করার কথা জানিয়ে মিঠুন বলেন, 'তামিম ভাই এখানে একটা বড় রোল প্লে করেছেন, উনি সবার সাথে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছেন। ৮০ ভাগ মানুষ আমাদের পক্ষে মত দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। কয়েকজনকে এখনও রাজি করাতে পারিনি, আশা করি তারাও মেনে নিবেন। দিনশেষে ক্রিকেটেরই জয় হবে।'
দ্রুত লিগ চালু হতে আশাবাদী মিঠুন, 'আমাদের ভেতর আরও আলোচনা হবে, আরও কয়েকবার বসব আমরা, তবে এখন পর্যন্ত আশাবাদী যে সব ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে।'
এদিকে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে সব ক্লাবের সঙ্গেও। যারা খেলবেন না বলে জানিয়েছিলেন তাদের খেলার ব্যাপারেও শতভাগ আশাবাদী সিসিডিএম। এ বিষয় নিয়ে আগামী ২২ অক্টোবর বৈঠকে বসবে বিসিবি। এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন, নভেম্বরের ১ এবং ২ তারিখ খেলোয়াড় ট্রান্সফারের দিনক্ষণ থাকবে। পরবর্তীতে ৮ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে শুরু হবে প্রথম বিভাগ লিগ।
এর আগে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের গত আসরের খেলা হয়েছিল বিকেএসপি ৩, ৪ (সাভার), পিকেএসপি ১, ২ (রূপগঞ্জ) ও পিএইচআরসিএস (কেরানীগঞ্জ) মাঠে। সবমিলিয়ে ২০ দলের অংশগ্রহণে গত আসরে মোট ১২৪টি ম্যাচ হয়েছিল।
টিজে/টিকে