সরকার জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) বগলে করে নিয়ে ঘুরছে। মনে হচ্ছে তারা নিবন্ধন পেয়ে গেছে। আর নির্বাচন কমিশন তাদের জন্য অন্য দলগুলোর নিবন্ধনও আটকে রেখেছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারের সামনে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক তদন্তে উত্তীর্ণ মৌলিক বাংলা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির সভাপতি খান শোয়েব আমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা রাজনীতি করে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে তারা (তদন্ত কর্মকর্তারা) প্রশ্ন করছেন। আমরা প্রত্যেকের (তদন্ত কর্মকর্তাদের) নাম নোট করেছি। উনারা আমাদের যেসব কথা বলেছেন খুবই অপ্রীতিকর কথা। খুবই সেনসিটিভ কথা, যা রাজনৈতিক দলের প্রতি সরকারি কোনো মানুষ বলতে পারেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মানুষের কথা বলে আসছি। ২০১২ সাল থেকে অনেক দল নিবন্ধন পেয়েছে। তারা কিভাবে নিবন্ধন পেয়েছে আমরা সবাই জানি। আমরা কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে কোনো কম্প্রমাইজ করি নাই। কম্প্রমাইজ না করার জন্য আজকে আমরা এই পর্যন্ত আসছি।’
মৌলিক বাংলার সাধারণ সম্পাদক ছাদেক আহম্মেদ সজীব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রথমে তদন্ত, পরে পুনর্তদন্ত এখন আবার অধিকতর তদন্ত করছে। এতে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। কারণ আমাদের নেতাকর্মীরা অন্য পেশার পাশপাশি রাজনীতি করেন। বারবার তদন্তের নামে মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ায় তাদের কর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তারা যে তদন্ত করছে এটা ময়নাতদন্তের মতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সহযোগিতার থেকে অসহযোগিতাগুলো বেশি করেছে। ইসির বিধিমালা অনুযায়ী যে ডকুমেন্টস দেওয়ার প্রয়োজন আমরা প্রত্যেকটা ডকুমেন্টস দেওয়ার পরেও তারা চায় যে, আমরা যে অফিসগুলো নিয়েছি সেই অফিসগুলোর দলিল দিই। আমরা অফিস নিয়ে ভাড়ার চুক্তিপত্র করছি। এই ভাড়ার চুক্তিপত্রের বাইরে যিনি মালিক থাকে তাকে সম্পত্তির দলিল নির্বাচন কমিশনকে দেখাইতে বলে। যেটা আসলেই পুরোটাই আন-ইথিক্যাল।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা দলের জন্য বাকি দলগুলোর নিবন্ধন দিচ্ছে না। এনসিপিকে যেভাবে নির্বাচন কমিশন প্রায়োরিটি দিচ্ছে, যা পুরোটাই সাংবিধান লঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা লঙ্ঘন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রক্রিয়া কখনো হয়নি যে তাদের তদন্ত প্রক্রিয়াকে নিয়ে তিনটা ধাপে করতে হয়েছে। এই তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের অক্ষমতা এবং তাদের অসহযোগিতাকে সব সময়ের জন্য জারি রেখেছে।’
এদিকে বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিও অধিকতর তদন্ত না করে প্রথম তদন্তের ভিত্তিতে নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে নিবন্ধন আইন সহজ করার কথাও বলা হয়েছে।
এসএস/এসএন