যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, প্রতি গ্যালন গ্যাস গড়ে ৩ ডলারের নিচে বিক্রি হচ্ছে। যা গত চার বছরে সর্বনিম্ন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার প্রায় পুরো মেয়াদজুড়ে গ্যাসের গড় দাম গ্যালনপ্রতি ৩ ডলারের উপরে ছিল।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জ্বালানি উৎপাদন নীতির ফলস্বরূপ মার্কিন জনগণ এখন চার বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে গ্যাস কিনতে পারছেন। যা সাধারণ জনগণের জন্য একটা বড় স্বস্তি এনে দিয়েছে।
ডালাসভিত্তিক কোম্পানি গ্যাসবাডি জানিয়েছে, সোমবার (২০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গ্যাসের গড় দাম গ্যালনপ্রতি ২ ডলার ৯৮ সেন্টে বিক্রি হয়েছে যা গত সপ্তাহ থেকে অন্তত ৩.৫ সেন্ট, গত মাস থেকে ২০.৫ সেন্ট এবং গত বছরের চেয়ে ১৬.৫ সেন্ট কম। এই দাম নিকট ভবিষ্যতেও স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্যাসবাডির পেট্রোলিয়াম বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান প্যাট্রিক ডি হান এক্স-এ লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালনপ্রতি গ্যাসের গড় দাম ২.৯৭৭ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পর সর্বনিম্ন। অবশেষে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে গ্যাসের দাম ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসছে। কারণ ওপেক তেল উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, যা গত এক বছরে গ্যাসের দাম গ্যালনে ১৭ সেন্ট কমার প্রধান কারণ।’
গ্যাসবাডির তথ্যানুসারে, বর্তমানে ৩৫টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের গড় দাম গ্যালনপ্রতি ২ ডলার ৯৯ সেন্টের নিচে। কলোরাডোর ইভান্স শহরে গ্যালনপ্রতি নগদ ১ ডলার ৯৯ সেন্ট মূল্যের প্রথম রেকর্ড করা হয়েছে এবং ওকলাহোমায় ২.৪৬৪ ডলারে বিক্রি হয়েছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বোচ্চ দাম রেকর্ড করা হয়েছে। এই রাজ্যে গ্যাসের দাম গ্যালনপ্রতি ৪.৬০২ ডলার।
বাইডেন প্রশাসনের সময় অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চমূল্যের পাশাপাশি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। যা তার বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণের হতাশা ও ক্ষোভের অন্যতম মূল কারণ ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, জ্বালানি খাতে আমেরিকার আধিপত্যই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর মূল চালিকা শক্তি। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটিই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
তথ্যসূত্র: নিউজউইক
আরপি/এসএন