ব্র্যাড ইভান্সের সঙ্গে ব্লেসিং মুজারাবানির পেস আগুনে পুড়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে একটুখানি উন্নতিতে কেবল দেড়শ ছুঁতে পেরেছে। তবে সেই রানও যথেষ্ট ছিল না জিম্বাবুয়েকে আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসের তিন উইকেট নিলেন মুজারাবানি। ডানহাতি পেসারের সঙ্গে পাঁচ উইকেট নিলেন রিচার্ড এনগারাভা। তাদের দুজনের ওমন বোলিংয়ে ইব্রাহিম জাদরানের ৪২ রানের পরও ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। আফগানিস্তানকে ইনিংস ও ৭৩ রানে হারিয়ে ১২ বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জিতল জিম্বাবুয়ে।
বেন কারানের সেঞ্চুরির সঙ্গে সিকান্দার রাজার হাফ সেঞ্চুরি ও নিক ওয়েলচ, ইভান্সদের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে ৩৫৯ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের চেয়ে ২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামে আফগানিস্তান। শেষে বিকেলে ৩৪ রান করতেই ১ উইকেট হারাতে হয় তাদের। ব্যাটিংয়ে দিনের শুরুটা করেন ইব্রাহিম ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। যদিও তাদের দুজনের জুটি টেকেনি বেশিক্ষণ।
তানাকা শিভাঙ্গার ডাউন দ্য লেগের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার তাফাদজাওয়া সিগাকে ক্যাচ দিয়েছেন গুরবাজ। ডানহাতি ব্যাটার ফেরেন ২৯ বলে ৯ রান করে। একপ্রান্তে ভালো ব্যাটিং করলেও তাকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি এনগারাভা। বাঁহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে যেতেই ফিরতে হয় তাকে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন ডানহাতি এই ওপেনার।
একটু পর আউট হয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদিও। এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে ফুটওয়ার্কের গোলমেলে আউট সাইড এজ হয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ রান করা আফগান অধিনায়ক। ৬০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলা চেষ্টা করেন বাহির শাহ ও আফসার জাজাই।
তাদের দুজনের ব্যাটেই একটু একটু করে এগোতে থাকে আফগানরা। বাহির ও আফসারের ব্যাটেই একশ ছুঁয়ে সফরকারীরা। তবে একশ ছোঁয়ার পরই তাদের জুটি ভাঙেন মুজারাবানি। ডানহাতি পেসারের শরীর বরাবর শর্ট ডেলিভারিতে শর্ট ফাইন লেগে কারানের হাতে ক্যাচ দেন ৩২ রান করা বাহির। জুটি ভাঙার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আফসারও। শিভাঙ্গার বলে ইভান্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৮ রানে।
৬ উইকেটে ১২৭ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় আফগানিস্তান। লাঞ্চ থেকে ফিরে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি তারা। দ্রুতই ফেরেন ইসমাত আলম, শরাফউদ্দিন আশরাফ, খালিল গুরবাজ ও জিয়া উর রহমান। দেড়শ পেরিয়ে ১৫৯ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ইনিংস ও ৭৩ রানে হারতে হয় তাদের। জিম্বাবুয়ের জয়ের দিনে মুজারাবানি তিনটি ও এনগারাভা নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। জিম্বাবুয়ের একমাত্র ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কারান।
এসএস/টিএ