রাজনৈতিক দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে কোনো উপদেষ্টাকে বাদ দেওয়া হবে বলে মনে করেন না গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করতে ব্যর্থ। তিনি একলা চলো নীতিতে চলেন। তিনি অনেকের কথা শোনের এবং নিজে যেটা ভালো মনে করেন, সেটাই করেন।
এটি নেতৃত্বের এক ধরনের গুণাবলি।’
বুধবার সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামালের ইউটিউব চ্যানেলে ‘অন্য মঞ্চ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আব্দুন নূর তুষার।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির প্রতিনিধিদল। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি কমন দাবি হলো—উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ‘দলীয় উপদেষ্টা’ বাদ দেওয়া।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দাবি, উপদেষ্টা পরিষদে দলীয় উপদেষ্টা থাকলে তা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বাধাগ্রস্ত করবে। এ কারণে তারা নির্বাচনের আগে ‘দলীয় উপদেষ্টাদের’ অপসারণ চেয়েছেন। তবে কোনো দলের প্রতিনিধিরাই নির্দিষ্ট কোনো নাম বলেননি প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
এ বিষয়ে উপস্থাপক মাসুদ কামালের প্রশ্নের জবাবে আব্দুন নূর তুষার বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য শুনেছেন।ৎ
তবে তিনি উপদেষ্টা পরিষদে কোনো পরিবর্তন আনবেন না। যদি না কোনো উপদেষ্টা স্বেচ্ছায় বা নির্বাচন করার কারণে পদত্যাগ করেন। অথবা সেফ এক্সিটের জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানিয়েছেন কিছু কিছু উপদেষ্টা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’। এ বিষয়ে তুষার বলেন, ‘এই অভিযোগ যদি গাণিতিকভাবে দেখা যায় তবে জামায়াত যাকে অনিরপেক্ষ বলছে, বিএনপির দৃষ্টিতে তিনি অনিরপেক্ষ নন।
আবার বিএনপি যাবে অনিরপেক্ষ বলছে জামায়াতের রাজনীতিক দৃষ্টিতে তিনি নিরপেক্ষ। এনসিপি নিশ্চয়ই আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলমকে অনিরপেক্ষ উপদেষ্টা বলছে না, কারণ এরা তো তাদের কাছ থেকে মনোনয়ন পাওয়া উপদেষ্টা। সুতরাং এই কেউ কেউ এর তালিকায় যদি দুজন করে উপদেষ্টাও থাকেন তাহলে তিন দল মিলে ছয়জনকে অনিরপেক্ষ বলছে।’
রাজনৈতিক দলগুলো অনিরপেক্ষ উপদেষ্টাদের নাম না বলে জাতিকে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন তুষার। তিনি মনে করেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সত্যিকারের অভিযোগ তোলে তাহলে উপদেষ্টাদের নাম এবং তাদের পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের তালিকা প্রকাশ করা উচিত।’
আরপি/এসএন