ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর অধিগ্রহণের কোনো প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না বরং এমন পদক্ষেপ নিলে ইসরায়েলকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

টাইম ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এটি হবে না, কারণ আমি আরব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের প্রতি আরব বিশ্বের অনেক সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েল যদি পশ্চিমতীর অধিগ্রহণের চেষ্টা করে, তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন হারাবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এনবিসি নিউজ ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।

রিপোর্টে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের উগ্রপন্থি কয়েকজন এমপি ও মন্ত্রী পুরো পশ্চিমতীর এলাকা অধিগ্রহণের দাবি তুলেছেন এবং এ বিষয়ে দেশজুড়ে জনমত গঠনের চেষ্টা চলছে। ঠিক ঠিক সেই মুহূর্তে ট্রাম্পের এ মন্তব্য এলো।

ট্রাম্প আরও বলেন, আমি আরবদের কথা দিয়েছি— পশ্চিমতীরের ওপর কোনো ধরনের দখল বা সম্প্রসারণের পদক্ষেপ হবে না। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা চায়, সংঘাত নয়।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন। যদিও তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।

পশ্চিম তীর নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি এবারই প্রথম নয়। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেবেন না। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ইসরায়েলের কিছু উগ্র ডানপন্থি নেতা দেশটির সঙ্গে পশ্চিম তীর যুক্ত করে সেখানে নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে ধূলিসাৎ করতে চান। তাদের এ আহ্বান নাকচ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেব না, কোনোভাবেই না। এটা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামতে হবে।’

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চমক রেখে দল ঘোষণা করল দক্ষিণ আফ্রিকা Oct 24, 2025
img
নির্বাচনী কাজে নিয়োজিতরা এবার ভোট দিতে পারবেন: আইন উপদেষ্টা Oct 24, 2025
img
বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ বাড়াতে চূড়ান্তের পথে সিইপিএ চুক্তি Oct 24, 2025
img
সরিয়ে দেওয়া হলো নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে Oct 24, 2025
img
ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো অভিবাসী ফের নৌকায় চড়ে যুক্তরাজ্যে Oct 23, 2025
img
জাতীয় স্টেডিয়ামে একই দিনে আরচ্যারি ও হামজাদের ম্যাচ Oct 23, 2025
img
রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড Oct 23, 2025
img
শপথ নিলেন রোহিঙ্গাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা Oct 23, 2025
তামিম-মাশরাফি ভাই আমাকে সাপোর্ট করেছেন, আমার সামনে ভালো সময় আসবে: মিরাজ Oct 23, 2025
প্রেম নিয়ে প্রথমবারের মতো খোলাখুলি সাদিয়া আয়মান Oct 23, 2025
চরফ্যাশনে ৩ শতাধিক দুস্থ ও অসহায় মানুষ পেল বিএনপির উপহার Oct 23, 2025
নির্বাচনে যেকোনো অপশক্তি মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম: ডিএমপি কমিশনার Oct 23, 2025
ঢাবি এলাকায় অভিযান শুরুর আগেই দোকান নিয়ে চম্পট অবৈধ দোকানদাররা Oct 23, 2025
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির Oct 23, 2025
দায়িত্ব শেষ করে যত তাড়াতাড়ি যেতে পারি বাঁচব: আসিফ নজরুল Oct 23, 2025
শপথ গ্রহণ শেষে যা বললেন চাকসুর ভিপি-জিএস-এজিএস! Oct 23, 2025
img
ভিসা জটিলতায় হকি দলের ইউরোপ সফর বাতিল Oct 23, 2025
img
ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন : ড. আসিফ নজরুল Oct 23, 2025
img
জামায়াতের ৩৬ বছর আগের তত্ত্বাবধায়ক ফর্মুলা এখনও গ্রহণযোগ্য: শিশির মনির Oct 23, 2025
img
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে নতুন আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত পরিবারের Oct 23, 2025