দুই নেতা-অভিনেতার যুযুধানে 'জুজু' দেখছে দুই সিনেমার টিম!
গত সেপ্টেম্বর মাসে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে একশো কোটির মানহানি মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিগত কয়েক দশকে একাধিকবার রাজনীতির রং বদলানো ‘মহাগুরু’কে পালটা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও। বিপরীত রাজনৈতিক মেরুর অবস্থানে একদা দুই সতীর্থর সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে ঠেকেছে, বললেও অত্যুক্তি হয় না! এমতাবস্থায় একছাতার তলায় কুণাল-মিঠুনের সিনেমার ডাবিং নিয়ে আশঙ্কায় দুই সিনেমার টিম। কানাঘুষো তেমন খবরই চাউর হয়েছে টলিমহলের অলিন্দে।
দুটি বাংলা ছবির ডাবিংকে কেন্দ্র করে রবিবার একই স্টুডিওতে যাওয়ার কথা মিঠুন চক্রবর্তী ও কুণাল ঘোষের। এদিকে আইনি লড়াইয়ের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক শিবিরের দুই নেতা মুখোমুখি হলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন দুই সিনেমা কর্তৃপক্ষ। শোনা যাচ্ছে, রবিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি ডাবিং স্টুডিওর দুই ঘরে দুই নেতার ডাবিং করার কথা।
একদিকে কুণাল ঘোষ যখন অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘কর্পূর’-এর ডাবিং সারবেন, ঠিক সেসময়েই আরেক ঘরে মিঠুনের ‘প্রজাপতি টু’র ডাবিং করার কথা। তবে মুশকিল হচ্ছে, স্টুডিওর বসার জায়গা ‘কমন’। শুধু তাই নয়, লাঞ্চ ব্রেক হলেও সকলকে একসঙ্গেই বসতে হয়। এদিকে মিঠুন-কুণালের একদা সুসম্পর্ক এখন সাপে-নেউলে অবস্থা! সেই প্রেক্ষিতেই দুই বিরোধী শিবিরের দুই নেতা একবৃত্তে এলে জোর বাকযুদ্ধের আশঙ্কায় তটস্থ সিনেনির্মাতারা।
কারণ জুলাই মাসে কুণালের নাম শুনেই সাংবাদিকের বুম ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার মতো উদাহরণ তৈরি করেছেন মিঠুন। অন্যদিকে পদ্মশিবিরের নেতাকেও বাকবাণে বিদ্ধ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি কুণাল ঘোষ। রাজনীতির ময়দান ছাড়িয়ে তাঁদের বিবৃতিযুদ্ধের সাক্ষী থেকেছে বিনোদুনিয়াও। বর্তমানে মামলা-মোকদ্দমা অবধি জল গড়িয়েছে দু’তরফেই। মিঠুনের উকিল বিকাশ সিংয়ের চিঠির কড়া উত্তর দিচ্ছেন কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। হাইকোর্টে মামলার শুনানিও সামনেই। এমতাবস্থায় সম্মুখ সমরে যদি দু’জনের তিক্ত বাদানুবাদ হয়, তাতে কাজের পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে, বলে ধারণা দুই সিনেমার টিমের।
আইকে/টিএ