ইয়েমেনে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ ফ্যাগিনকে গাজা যুদ্ধবিরতি সমন্বয় কেন্দ্রের বেসামরিক প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও টেকসইভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবেন ফ্যাগিন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্র দফতর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জানায়, স্টিভ ফ্যাগিন গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে প্রতিষ্ঠিত তদারকি কেন্দ্রের সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্রাঙ্কের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তদারকি কেন্দ্রটি প্রেসিডেন্ট গত ১০ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ফ্যাগিনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০২২ সাল থেকে ইয়েমেনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইয়েমেনে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন তিন মাস পর্যন্ত বাগদাদে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে তিনি মূলত সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন।
ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দক্ষিণে কিরিয়াত গাট নামক এলাকায় একটি ভাড়া করা গুদামঘরে স্থাপিত কেন্দ্রটিতে প্রায় ২০০ মার্কিন সেনাকে পাঠানো হয়েছে। যেখানে তারা ইসরাইল ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘ ও ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের সাথে কাজ করছে।
শুক্রবার কেন্দ্রটি পরিদর্শন করের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এ সময় তিনি কেন্দ্রটিকে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ‘ঐতিহাসিক উদ্যোগ’ বলে অভিহিত করেন। এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারসহ শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারাও সম্প্রতি কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন, যাকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের জোর প্রতিশ্রুতির প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা চলছেই। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য মতে, যুদ্ধবিরতির পর অর্থাৎ গত ১১ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৩২৪ জন।
ইসরাইলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ১৯ জন। আহত হয়েছেন আরও ৭৭ জন। ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫১৯ জনে।
ইএ/টিকে