বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরশাসক ও তার দোসররা দেশে এবং বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা একটু নড়েচড়ে বসে ঐক্যবদ্ধ হলেই দেশে-বিদেশে ফ্যাসিস্টসহ নানা দল মিলে যে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে তা সফল হবে না। তাদের ষড়যন্ত্র তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ভারইল ছফির উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হকের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের ১৭ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সদলবলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আওয়ামী দুঃশাসন ও স্বৈরশাসনের আমলে লাখো লাখো বিএনপি নেতাকর্মীকে ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যা, গুম, হামলা-হামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন-নিপীড়ন করেও দমিয়ে রাখা যায়নি।’
জাহিদ হোসেন আরো বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করতে হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হরে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি নাদিমুল হকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান, পাগলা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান বাচ্চু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আল ফাত্তাহ খান, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক ও মরহুম নাজমুল হকের ছেলে নাহিদুল হকসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গত ১৭ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নিহত নেতাকর্মী ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত উপজেলার ৫ জনের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।