কুমিল্লার চান্দিনায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কর্মীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এলডিপির দুইজন কর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর নতুন বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— জোয়াগ ইউনিয়ন এলডিপির উপদেষ্টা দুলাল হোসেন (৫০) ও ইউনিয়ন গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ রবিন (২৪)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার মাগরিবের নামাজের পর ইউনিয়ন এলডিপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লক্ষ্মীপুর নতুন বাজারে তাদের দলীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. রেদোয়ান আহমেদকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে একটি সভার আয়োজন করে। ওই সময় একই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতী এতেশামুল হক কাসেমীর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা ওই বাজারে গণসংযোগ করতে যায়। গণসংযোগের এক পর্যায়ে তারা এলডিপির কার্যালয়ের সামনে ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও,’ ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, এই এলাকায় থাকবে না’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এতেই ঘটে বিপত্তি।
উপজেলা গণতান্ত্রিক যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবর বলেন, ‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সভা দলীয় কার্যালয়ে চলছিল। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। তারা আমাদের নেতাকর্মীদেরকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এলডিপির দুইজন কর্মী আহত হয়।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চান্দিনা শাখার প্রচার ও মিডিয়া উপকমিটি সমন্বয়কারী মাওলানা জোবায়ের খান ফরাজী। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে সন্ত্রাসী হামলা চালায় এলডিপি। তারা আমাদের প্রার্থী মুফতী এহতেমুল হক কাসেমীর উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের বিষয়ে আমাদেরকে কেউ কিছু জানায়নি, লিখিত অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ইউটি/টিএ