ডাকসুর পদবি ব্যবহার করে শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত : নাছির

ডাকসুর পদবি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে ডাকসু সদস্যদের আচরণ ও নিয়মের ধরন নিয়ে কথা বলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা।  

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মহোদয়ের সঙ্গে কয়েকজন ডাকসু নেতা যেভাবে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে অশোভন আচরণ করেছে তা খুবই নিন্দনীয়। ওই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ট্রেজারার মহোদয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। 

বিগত প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার দায় বর্তমান ট্রেজারার মহোদয়ের ওপর চাপিয়ে অযাচিত চাপ সৃষ্টি করা অছাত্রসুলভ ও বিবেকহীন আচরণ। নাছির বলেন, ডাকসুর পদবি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা তাদের দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অনুসরণ করার আহ্বান জানাই। দ্বিতীয়ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের সবার কাছে অগ্রাধিকার। 

ক্যাম্পাস থেকে কাদের সরানো জরুরি সে বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে-উদ্বাস্তু, নেশাগ্রস্ত কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা বীভৎস রোগাক্রান্তদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তৎপরতা জরুরি। তারা শিক্ষার্থীদের এবং বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। এ ছাড়া ক্যাম্পাস এবং আশপাশের জায়গাগুলোতে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা আবশ্যক।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান প্রয়োজন জানিয়ে নাছির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনেক অনুমোদিত বা ভাসমান দোকানপাট রয়েছে। এর বেশির ভাগই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে। ক্যাম্পাসে দোকান পরিচালনার অনুমোদনের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। একটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত দোকানপাট চিহ্নিত করতে হবে।

যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে স্থায়ী বা অস্থায়ী বা ভাসমান দোকান পরিচালনা করে আসছে, তাদের একটি যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ করে উচ্ছেদ করা সঠিক পদক্ষেপ নয়।

শেষে তিনি বলেন, আমরা মনে করি প্রশাসনের উচিত এ ক্ষেত্রে দ্রুত নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দোকানপাটগুলো একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা। অন্যথায়, নিত্যনতুন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাজাপ্রাপ্তরা দেশে না থেকেও মুক্তি পাচ্ছে : ফয়জুল করিম Oct 27, 2025
img
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
ড. ইউনূসের সংস্কার ও জুলাই সনদ কেবলই ভাঁওতাবাজি : জিল্লুর রহমান Oct 27, 2025
img
শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র Oct 27, 2025
img
মৌনী রায়ের রেস্তোরাঁর নাম ‘বদমাশ’, এক গোলাপজামের দাম ৪১০ টাকা! Oct 27, 2025
img
সরকারি অফিসে ঝুড়ি কেনার ধাপের বর্ণনা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 27, 2025
img
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা, দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা Oct 27, 2025
img
দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা : খাদ্য উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
শামীমের পারফরম্যান্সে হতাশ লিটন দাস Oct 27, 2025
img
আ.লীগ দোসর আখ্যা দিয়ে জামায়াত নেতার মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন নেতাকর্মীরা Oct 27, 2025
img
গুজব নয়, বাস্তব সত্য দেখার আহ্বান রঞ্জিত মল্লিকের Oct 27, 2025
img
এবার জনগণই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে: সালাহউদ্দিন আহমদ Oct 27, 2025
img
ঐকমত্য কমিশনের সব ডকুমেন্ট উন্মুক্ত থাকা দরকার : প্রধান উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
মেয়াদ শেষ হলেও প্রয়োজনে সরকারকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব : আলী রীয়াজ Oct 27, 2025
img
৮ম বার নির্বাচিত হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট Oct 27, 2025
img
শাহরুখ, বিরাটদের মতো দামী পানি পান করেন শেহনাজ়, কিন্তু পাননি ভালো ফল Oct 27, 2025
img
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল লেখক ও সাংবাদিক মনিরুজ্জামানের Oct 27, 2025
img
দেশের বাজারে রুপার দামে বড় পতন! Oct 27, 2025
img
যুবলীগের সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় কাল Oct 27, 2025
img
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১ম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে হারল বাংলাদেশ Oct 27, 2025