জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ৭০ দশকের মুজিববাদী রক্ষীবাহিনীর নমুনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের উপরে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের নৃশংস হামলা ও গণহত্যা সেদিন অবাক বিস্ময়ে দেখেছে বিশ্ববাসী। ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব দিয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের প্রস্তুতি নিয়েছিল আর পিলখানা গণহত্যা দিয়ে ফ্যাসিবাদের যাত্রা শুরু করেছিল।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পল্টনস্থ মরহুম শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে যুব জাগপা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশের জনগণ আশা করেছিল যে, আওয়ামী আমলে সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার হবে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকার শুধু জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু করে বাকি সব গণহত্যার বিচারকে অবহেলা করেছে। বিচারের অপেক্ষায় নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে লগি-বৈঠা, পিলখানা, শাপলা, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার শিকার পরিবারের সদস্যরা।
তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যে কোনো সময় গণভোট করার সুপারিশ করেছে কমিশন। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোটে এখন আর কোনো বাধা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, লগি-বৈঠা, পিলখানা, শাপলা, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচার করেননি; জুলাই গণহত্যার শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করুন।
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ওলিউল আনোয়ারের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, ফরিদপুর জেলা সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন, যুব জাগপা কেন্দ্রীয় নেতা জনি নন্দী, মো. ডালিম হোসেন, খান আতাউর রহমান আদর, জাগপা ছাত্রলীগ নেতা মো. এনামুল হক প্রমুখ।
এসএস/টিএ