কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মানুষের চাকরি প্রতিস্থাপন করার পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। আর্টিফিশিয়ান ইন্টেলিজেন্স খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রায় ১৪ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে টিকে থাকার প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করছে সংস্থাটি। করোনা মহামারির পর এটিই কোম্পানির সবচেয়ে বড় ছাঁটাই।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের কার্যক্রম আরও সংগঠিত ও দক্ষভাবে পরিচালনায় বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) অ্যামাজন জানায়, করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ১৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হবে। খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সংগঠন কাঠামো সরলীকরণের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো এক বার্তায় প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বেথ গালেত্তি জানিয়েছেন, গ্রাহকের বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার জায়গায় বিনিয়োগ করাই এখন তাদের লক্ষ্য। অ্যামাজন মূলত এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যামাজনের ছাঁটাইয়ের সংখ্যা প্রথমে ৩০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এর প্রভাব পড়বে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ, অপারেশনস, ডিভাইস ও সার্ভিসেস, এমনকি ওয়েব সার্ভিস ইউনিটেও।
এর আগে গত জুনে অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি কর্মসংস্থানের ধরণ বদলে দেবে। ২০২২ সালেও অ্যামাজন প্রায় ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যামাজন খোলাখুলিভাবে এআই সংক্রান্ত কারণে কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। চলতি বছর আরও বহু প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করলেও এর আসল কারণ প্রকাশ করেনি, তবে অনেক ক্ষেত্রেই পেছনে ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর স্বয়ংক্রিয়তার প্রভাব।
আরপি/এসএন