ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে করা পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত আগামী ২ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। দুদক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, এ দিন মামলা তিনটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। দুইজন সাক্ষী আদালতে হাজির হন। তবে, এ তিন মামলার এজাহারনামীয় আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ২৯ অক্টোবর (গতকাল) দুর্নীতির অপর তিন মামলায় আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। যেহেতু সে এই মামলাগুলোর এজাহারনামীয় আসামি। তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারির আবেদন করি।
তিনি জানান, আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আজ সাক্ষ্য না নিয়ে রোববার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন আসামিকে আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসব মামলায় একটিতে শেখ রেহানা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। আরেকটিতে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় রাদওয়ান, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।
এসএস/টিএ