বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব মিয়া নূরুদ্দিন আহম্মেদ অপু।
দীর্ঘ ৮ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তিনি শরীয়তপুরে ফিরে আসেন। ফেরার পথে জাজিরার নাওডোবা, কাজীরহাট, টিএন্ডটি মোড়, শরীয়তপুর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা, চরপালং, চৌরঙ্গীর মোড়, ধানুকাসহ অন্তত ১০টি স্থানে দিনব্যাপী জেলা বিএনপির আয়োজিত পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
মিয়া নূরুদ্দিন আহম্মেদ অপু বলেন, জনগণের ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে তারেক রহমান সব সময় দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুত। দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, অধিকার চায়—সেই আন্দোলনের সফল পরিণতিই হবে তাঁর দেশে ফেরা।
অপু বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটিয়েছে। আজ বাংলাদেশ আবারও গণতন্ত্রের পথে ফিরেছে। তিনি বলেন, আমাকে শরীয়তপুরে পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের কাছে যেতে, তাদের ভালোবাসতে, কষ্ট না দিতে। আমরা প্রমাণ করতে চাই, শরীয়তপুর বিএনপির ঘাঁটি এখানে বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি।
এ সময় তিনি শরীয়তপুরের তিনটি আসনের দলের সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। মিয়া নূরুদ্দিন বলেন, দীর্ঘ আট বছর কারাগারে ছিলাম। আমার ছেলে তখন হাসপাতালে অসুস্থ ছিল। কিন্তু আমি মানুষের সেবা করতে গিয়েছিলাম, ভালোবাসতে গিয়েছিলাম। সেটাই আমার অপরাধ হয়ে দাঁড়ায়। আমাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এমন রাজনীতি আমরা চাই না। বিএনপি কখনো হিংসার রাজনীতি করে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার খান, সহসভাপতি এসএম ফয়সাল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি বাচ্চু সরকার, সহসভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন ফকির, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদল বেপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিতুল গনি মিন্টু সরদার ও মাহবুব আলম তালুকদারসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বিএনপি দলীয় সূত্রে জানায়, গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুরের সন্তান মিয়া নূরুদ্দিন আহম্মেদ অপু ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনে (গোসাইরহাট-ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ আংশিক) বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। সে সময় তিনি আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হন এবং পরবর্তীতে একাধিক মামলায় কারাগারে যান। সাত বছর কারাবাসের পর গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান।
ইউটি/টিএ