১৯৭১ সালকে ভুলে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘কারণ ওটাই হচ্ছে আমাদের জন্মের ঠিকানা। এ ভূখণ্ড সে সময় একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল, এটা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। ১৯৭১ আমাদের অস্তিত্ব, পরিচয় ও স্বাতন্ত্র্যের কথা।’
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে। তার আগে করার সুযোগ নেই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, একটা শক্তি আছে, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। তারা এখন সেই ইতিহাস নিচে নামিয়ে দিতে চায়। তারা শুধু ২৪-এর জুলাইয়ের আন্দোলন বড় করে দেখাতে চায়। কিন্তু আমরা এক দিনের জন্য নয়, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করতে শেখ হাসিনাকে উৎখাতের জন্য ১৫ বছর সংগ্রাম করেছি।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই সনদে আমরা যে অংশে সই করেছি, তার দায়দায়িত্ব আমরা নেব। কিন্তু যেটা আমরা সই করিনি, সেটার দায় বিএনপি নেবে না।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবীক্রম। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বিভিন্ন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন। পরে তাঁরা প্রেস ক্লাব থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করেন।