অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকেই জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, জুলাই সনদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কার্যালয় থেকে জারি হলে সেটা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে।
রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাহিদ এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ অবশ্যই এবং অবশ্যই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করতে হবে। জুলাই সনদ যদি প্রেসিডেন্ট, তথাকথিত প্রেসিডেন্ট যিনি আছেন তার থেকে জারি হয়, প্রেসিডেট অফিস থেকে জারি হয়, তাইলে এই জুলাই সনদের কোনো আইনি এবং রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হবে না। বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নামে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই নেতা বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট চুপ্পু এই আদেশ দেন, তার কোনো ধরনের রাজনৈতিক বৈধতা নেই, এমনকি আইনি, সাংবিধানিক বৈধতাও নেই এই ধরনের কোনো আদেশ জারি করার। ফলে অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এই আদেশটি জারি করতে হবে।
গণভোটের সময় নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্বের সমালোচনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সনদে কী কী সংস্কার হবে, কী কী প্রস্তাবনা থাকবে এবং সেটার আইনি ভিত্তিটা কীভাবে হবে, অধ্যাপক ইউনূস সেটা আদেশ জারি করবেন কি না এগুলো হলো প্রধান ইস্যু, প্রধান তর্কের জায়গা। এই জায়গাগুলোতে একমত হলে গণভোট আমরা ইলেকশনের দিনও করতে পারি, ইলেকশনের আগেও করতে পারি। সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। কিন্তু গণভোট আগে হবে নাকি ইলেকশনের দিন হবে—এটা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত একটা দ্বন্দ্বে চলে গেছে। এ দ্বন্দ্বটা অযথা-অপ্রয়োজনীয় বলে আমরা মনে করছি।
এমআর/এসএন