অভিনেত্রী শ্রদ্ধা দাস সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতা ও সফরকথা প্রকাশ করেছেন, যা দর্শকদের মধ্যেও গভীর সাড়া ফেলেছে। দক্ষিণ ও উত্তরের সিনেমা জগতে কাজ করার সময় যে সাংস্কৃতিক ও পেশাদার পার্থক্য তিনি দেখেছেন, তা তিনি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
শ্রদ্ধা জানান, “দক্ষিণের সিনেমার ক্ষেত্রে পিআর কালচার একেবারেই আলাদা। কোনো পেইড পিআর নেই। একটি ফোন কলেই চুক্তি হয়, শুটিং হয়, এবং কয়েক মাসের মধ্যেই ছবি মুক্তি পায়। হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রে বিষয়টি ধীর, এবং প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে সর্বদা দর্শকের সামনে থাকতে হয়।”
তবে শ্রদ্ধার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো দর্শকের আনুগত্য। তিনি বলেন, “যদি একজন অভিনেত্রী শুধু এক বা দুইটি ছবি করেন, দর্শক তাকে চিরকাল মনে রাখে। তারা আপনার ছবি দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসে। এমন গভীর সংযোগ খুবই বিরল।”
শ্রদ্ধা আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দর্শকের আচরণ পরিবর্তিত হয়েছে। “মানুষ সবসময় সংবেদনশীল ছিল, এখন শুধু তাদের প্রকাশের মাধ্যম এসেছে।”
নিজের যাত্রাকে স্মরণ করে তিনি বলেন, “আমি কোনো বড় লঞ্চ বা সিনেমার পটভূমি ছাড়া এই পথচলা করেছি। অভিনয় করা ছিল প্রাথমিক পরিকল্পনা না, আমি গায়িকা হতে চেয়েছিলাম।”
হিন্দি ছবি লাহোর-এর মাধ্যমে তিনি নিজের ব্রেকআউট অর্জন করেন, যা চার বছর ধরে নির্মিত হয়, এবং এই সময় তিনি এক ডজনের বেশি আঞ্চলিক ছবিতে অভিনয় করেন। গোপিচন্দের সঙ্গে তার তেলেগু ছবি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে ওঠে, এরপর থেকে কখনও পেছনে তাকাননি।
৫০০ বার অডিশন দেওয়ার পর, প্যান-ইন্ডিয়ান মুখ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা শ্রদ্ধা দাস হলেন অধ্যবসায়, বহুমুখিতা এবং বিনয়ী মনোভাবের উদাহরণ।
এমকে/এসএন