পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিক মঞ্চে এক ধরনের নীরব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
কৌশিক সেনের কথায়, “প্রতিবাদী, বুদ্ধিজীবী কথাগুলোর কোনও মানে নেই। আমাদের মতামত অনেকে নেন, এটা আসলে বাঙালি মধ্যবিত্তের সান্ধ্যকালীন বিনোদন।” এই মন্তব্য দর্শকদের মধ্যবর্তী মনস্তত্ত্বের এক বিশেষ প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।
শহরের চলচ্চিত্র, নাটক ও সাহিত্য মহলে নানা ধরনের বিতর্ক থাকলেও সাধারণ মানুষ তা প্রায়শই শুধু পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ করেন। এ ধরনের মনোভাবই পশ্চিমবঙ্গের বিনোদন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশকে একটি অনন্য রঙ দিয়েছে। নাট্যশালা থেকে সিনেমা হলে, সামাজিক মিডিয়া থেকে সাহিত্য আসরে- প্রতিটি জায়গায় মধ্যবিত্তের আকাঙ্ক্ষা এবং মতামতকে বিনোদনের আড়ালে রাখা হয়েছে।
কৌশিক সেনের এই মন্তব্য শুধু একটি ব্যক্তিগত অভিমত নয়, বরং এটি পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতেরও আভাস দেয়। একদিকে সামাজিক আন্দোলন ও বুদ্ধিজীবী আলোচনা, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মনোরঞ্জন- এই দ্বন্দ্বেই আবর্তিত হচ্ছে শহরের বিনোদন জীবন।
এখনও যেখানে কলকাতার রূপালি পর্দায় নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, সেখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মন্তব্য যেন অনেকাংশে পেছনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি শুধু বিনোদন নির্মাতাদের জন্য নয়, দর্শকদের জন্যও এক নতুন মানসিক বাস্তবতা গড়ে তুলছে।