কাজের চাপ কমাতে ১০ রোগীকে হত্যা, জার্মান নার্সের আমৃত্যু কারাদণ্ড

কাজের চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে রোগীদের হত্যা করার দায়ে জার্মানির এক প্যালিয়েটিভ কেয়ার নার্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪৪ বছর বয়সী ওই পুরুষ নার্সকে ১০ জন রোগীকে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে হত্যা এবং আরও ২৭ জনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।


বুধবার পশ্চিম জার্মানির আচেন শহরের একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করে। আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই অপরাধে বিশেষত গুরুতর অপরাধ ধারা প্রযোজ্য হয়েছে। ফলে সাধারণ জাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়মে ১৫ বছরের পর শর্তসাপেক্ষ মুক্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন এই ব্যক্তি।


প্রসিকিউটররা আদালতকে জানান, ওই নার্স উয়ার্সেলেন শহরের একটি হাসপাতালে দুর্বল রোগীদের ওপর জীবন ও মৃত্যুর কর্তা সেজেছিলেন। তিনি মূলত বয়স্ক রোগীদের টার্গেট করতেন এবং বিশেষ করে রাতের শিফটে নিজের কাজের চাপ কমানোর জন্য তাদের উচ্চ মাত্রার ঘুমের ওষুধ বা ব্যথানাশক ইনজেকশন দিতেন।


আদালতকে জানানো হয়, ওই নার্সের ব্যক্তিত্বের বিকার ছিল এবং তিনি তার রোগীদের প্রতি কখনোই কোনো সহানুভূতি দেখাননি। এমনকি বিচার চলাকালীন সময়েও তিনি কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। তিনি রোগীদের হত্যা করতে মরফিন এবং মিডাজোলাম ব্যবহার করতেন।


প্রসিকিউটরদের মতে, ওই নার্স বিনা উৎসাহে কাজ করতেন এবং তার কাজের প্রতি কোনও প্রেরণা ছিল না। যেসব রোগীর অতিরিক্ত যত্ন বা মনোযোগের প্রয়োজন হতো, তারা তাকে বিরক্ত করে তুলতো।


খবরে বলা হয়, ওই নার্স ২০০৭ সালে প্রশিক্ষণ শেষ করেন এবং ২০২০ সাল থেকে উয়ার্সেলেনের ওই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাকে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।


প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, আরও ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করার জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে এবং ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও অপরাধের জন্য পুনরায় বিচার শুরু হতে পারে।


তথ্যসূত্র দ্য টেলিগ্রাফ


আইকে/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সময় এসেছে রাজনৈতিকভাবে জুলাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করার: স্নিগ্ধ Nov 06, 2025
img
ক্রিকেটে রাজনীতি পছন্দ করি না : ওয়াসিম আকরাম Nov 06, 2025
img
খুশি কাপুর-কারিশ্মা তান্না জুটিতে নতুন দিগন্তে “মা ২” Nov 06, 2025
img
বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে মুখ খুললেন রেজা কিবরিয়া Nov 06, 2025
img
ডিসেম্বরে নামতে পারে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ Nov 06, 2025
img
২৩ হাজার কোটি টাকার চেলসিকে রুখে দিল কারাবাগ Nov 06, 2025
img
সিসি ক্যামেরা যুক্ত থাকা ভোটকেন্দ্রের তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন Nov 06, 2025
img
৫ দফা দাবি নিয়ে যমুনায় যাবে জামায়াতসহ ৮ দল Nov 06, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে ৯ম দিনের আপিল শুনানি চলছে Nov 06, 2025
img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা Nov 06, 2025
img
নির্বাচনকে সামনে রেখে জরাজীর্ণ ভোটকেন্দ্র সংস্কারে তথ্য চায় ইসি Nov 06, 2025
img
সংগীত নয়, আপাতত সিনেমাতেই মনোযোগ আয়ুষ্মান খুরানার Nov 06, 2025
img
ইউনূস সরকার রীতিমতো অপরাজনীতি করছেন : জাহেদ উর রহমান Nov 06, 2025
img
বিদেশিদের হয়রানি বন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকোর্টে রায় Nov 06, 2025
img
জোহরান মামদানিকে ট্রাম্পের কড়া বার্তা Nov 06, 2025
img
করুরের ট্র্যাজেডির ১ মাস পর মুখ খুললেন থালাপতি বিজয় Nov 06, 2025
img
দূষিত শহরের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৯ম Nov 06, 2025
img
টানা পাঁচ ফ্লপের পর শ্রীলীলার ক্যারিয়ার সঙ্কটে Nov 06, 2025
img
মাদ্রাসায় পড়ার সময়টা জীবনের সবচেয়ে ভালো মুহূর্ত ছিল: কেয়া পায়েল Nov 06, 2025
img
পুরোনো গানে নতুন নায়িকাকে নিয়ে জুটি বাঁধলেন অক্ষয় কুমার Nov 06, 2025