সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কাঙ্ক্ষিত গ্রেড বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামছেন। বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে আগামীকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামের শিক্ষক মোর্চা।
সহকারী শিক্ষকদের প্রধান দাবিগুলো হলো:
১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ: বর্তমানে তারা ১৩তম বা ১২তম গ্রেডে বেতন পান।
উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান: ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা।
শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি: পদোন্নতির ক্ষেত্রে শতভাগ বিভাগীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
শিক্ষকদের অসন্তোষের প্রধান কারণ হলো— গত ২৪ এপ্রিল গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার কথা জানালেও, সহকারী শিক্ষকদের বেতন শুধু ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার কথা জানায়। শিক্ষকরা বলছেন, প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০ম-এ উন্নীত করায় সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বেতন বৈষম্য আরও বেড়ে গেছে, যা তারা দূর করতে চান।
যদিও শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডের দাবিতে অনড়, তবুও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, আমরা প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেড ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছি এবং সেই লক্ষ্যে কাজও হচ্ছে। খুব সহসাই দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে।
‘আর সহকারী শিক্ষক যারা আছেন, তাদের ১১তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি। পে কমিশনে এটা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।’
দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের সুপারিশে সন্তুষ্ট নন এবং ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমআর/টিকে