প্রায় ২১ বছর আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ফারাহ খান পরিচালিত ‘ম্যায় হু না’। ২৫ কোটি বাজেটের সে সিনেমাটি তখন প্রায় ৭০ কোটিরও বেশি আয় করেছিল। শুধু তা-ই নয়, দুই দশক পেরিয়ে এখনো দর্শকের কাছে সতেজ এবং প্রিয় সেই সিনেমাটি।
সিনেমাটিতে সানজানা বক্সীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমৃতা রাও।
চরিত্রটি দর্শকের কাছেও বেশ প্রশংসা পায়। এবার জানা গেল, এই চরিত্রে শুরুতে অমৃতার অভিনয় করার কথা ছিল না। প্রথমে চরিত্রটির জন্য প্রস্তাব গিয়েছিল আয়েশা টাকিয়ার কাছে। শেষ মুহূর্তে এসে বদলে যায় নায়িকা।
এমনটা নিজেই জানিয়েছেন ছবির পরিচালক।
ফারাহ খান এখন নিয়মিত ‘ভ্লগ’ করেন। একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর বাড়ি গিয়েও শুট করেন। তেমনই ভ্লগের একটি পর্বে পরিচালক-নৃত্যপ্রশিক্ষক হাজির হয়েছিলেন অমৃতা রাওয়ের বাড়িতে।
সেখানেই শোনা গেল, অমৃতার আগে পর্দার সানজানা বক্সীর চরিত্রের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল আয়েশাকে। কিন্তু শুটিং শুরুর সপ্তাহ দুই আগে নাকি ছবি থেকে সরে যান অভিনেত্রী।
সেই সময়ের স্মৃতি হাতড়ে ফারাহ খান বলেন, শুটিংয়ের ২ সপ্তাহ আগে, সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে, কিন্তু তখন নায়িকা নেই। দার্জিলিংয়ের সেন্ট পলস বুকিং হয়ে গেছে তখন। সবাই পৌঁছেও গেছেন সেখানে।
আমরা প্রথমে আয়েশাকে চূড়ান্ত করেছিলাম। কিন্তু ও তখন ইমতিয়াজ আলির সিনেমার শুটিং করছিল। প্রায় ২ মাস ধরে শুটিং করছিল। আমার ছবির শুট শুরু হতে দুই সপ্তাহ বাকি তখন। আমি ওকে ফোন করে বলি যে, তোমার তো পোশাক, কস্টিউম কিছুই তৈরি হয়নি। তখন আমাকে আয়েশা জানায় যে, এই কাজটা ও করতে পারবে না। কারণ ইমতিয়াজের ছবির তখনও শুটিং চলছে।
কীভাবে সেই চরিত্রের প্রস্তাব গেল অমৃতার কাছে? এর উত্তরে ফারাহ বলেন, গৌরী খান আমাকে বলেন এই মেয়েটিকে (অমৃতা) দেখতে পারো। ও (অমৃতা) একটা কুর্তি পরেছিল, ফলে একেবারেই আমার চরিত্রের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাইনি। ওকে অডিশনের সময় আমি মূল কান্নাকাটির দৃশ্যটা দিই। অমৃতাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড় করালে ও আগুন, এমনিতে ঠিকাঠাক। শ্রীদেবীর ঠিক এই গুণটাই ছিল।
আরপি/টিকে