আকাশে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় কুয়েতের যাত্রীবাহী অন্তত ৯টি বিমান ইরাকে জরুরি অবতরণ করেছে। রোববার ইরাকের বসরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব বিমান জরুরি অবতরণ করে বলে ইরাকি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, কুয়েতের এসব বিমানের অবতরণ ‘‘সেকেন্ড ফ্রিডম অব দ্য এয়ার’’ নীতির আওতায় করা হয়েছে। এই নীতির আওতায় যেকোনো দেশের বিমান প্রযুক্তিগত কিংবা নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণে আগাম অনুমতি ছাড়াই অবতরণের সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, কুয়েতের সব বিমানই নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় বসরা অঞ্চল, কুয়েতের উপকূলীয় এলাকা এবং ইরানের আহভাজ অঞ্চলজুড়ে ঘন কুয়াশা শুরু হয়েছে। ফলে দৃষ্টিসীমা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে ওই অঞ্চলের স্বাভাবিক বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইরাকি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, দেশের সব বিমানবন্দরই নির্ধারিত ও অনির্ধারিত সব ধরনের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
রোববার বসরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৯টি কুয়েতি বিমান ও তাদের যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সেবা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি সব কার্যক্রম সমন্বিতভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
বসরা বিমানবন্দর প্রশাসন বলেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আকাশপথে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তারা যেকোনো জরুরি ফ্লাইট গ্রহণে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন।
টিজে/এসএন