আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ হলো সমানতালে। গোলও হলো একইভাবে। তাতে ম্যাচের মোড় বদল হলো বারবার। দুবার ব্যবধান ঘুচিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলল লিওঁ, আশা জাগাল পয়েন্ট পাওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়ল পিএসজি।
প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে লিগ আঁয় রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল। দারুণ এই জয়ে আবার শীর্ষে ফিরল তারা।
ওয়ারেন জাইরে এমেরির গোলে পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন মোরেইরা। একটু পর খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়ার গোলে আবার এগিয়ে যায় সফরকারীরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেই ব্যবধানও ঘুচিয়ে দেন মাইটল্যান্ড-নাইল্স। তবে শেষ সময়ে জোয়াও নেভেসের গোলটির জবাব আর দিতে পারেনি লিওঁ।
গত সপ্তাহে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারের হতাশা সামলে জয়ে ফিরল পিএসজি। ১২ ম্যাচে আট জয় ও তিন ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া মার্সেইয়ের পয়েন্ট ২৫।
উসমান দেম্বেলে ও দিজিরে দুয়ের চোটে আক্রমণভাগ হয়ে পড়েছে নড়বড়ে। আশরাফ হাকিমি ছিটকে পড়ায় রক্ষণভাগও হয়েছে দুর্বল। সেই সঙ্গে মার্কিনিয়োসের মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে বেঞ্চে রেখে শুরুর একাদশ সাজান পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে।
ম্যাচের শুরুতে দুই দলের খেলাতেই তেমন কোনো ধার ছিল না। লড়াই জমে উঠতে অবশ্য দেরি হয়নি; সাত মিনিটে দুই পাশে মোট তিনবার জালে বল জড়ায়।
দারুণ এক গোলে ২৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। নিজেদের সীমানা থেকে ভিতিনিয়ার উঁচু করে বাড়ানো থ্রু বল ডি-বক্সে ধরে, দুরূহ কোণ থেকে জোরাল শটে কাছের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ান তরুণ ফরাসি মিডফিল্ডার ওয়ারেন জাইরে-এমেরি।
প্রায় একইরকম প্রতি-আক্রমণে চার মিনিট পরই সমতায় ফেরে লিওঁ। নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল ধরে, ডি-বক্সে ঢুকে নিচু শটে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২০ বছর বয়সী পর্তুগিজ মিডফিল্ডার মোরেইরা।
লিওঁর স্বস্তি কিছুক্ষণের মধ্যেই উবে যায়। ৩৩তম মিনিটে দলটির ডি-বক্সের সামনে তাদের এক খেলোয়াড়ের দুর্বলতায় বল কেড়ে সামনে বাড়ান ভিতিনিয়া। বল ধরে ডি-বক্সে ডুকে প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া।
৪২তম মিনিটে ফের সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিক দল। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি; আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে পিএসজি।
লিওঁর মিডফিল্ডার মর্টন তাদের সীমানা থেকে উঁচু করে বল বাড়ান। কী বুঝে পোস্ট ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে আসেন লুকাহ শুভালিয়ে! একপলকে সেটা দেখে সতীর্থের পাস ধরেই বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন মাইটল্যান্ড-নাইল্স, বল গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে গিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়।
৬২তম মিনিটে লি কাং-ইনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরাল শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দিয়ে, দলকে সমতায় রাখেন লিওঁ গোলরক্ষক।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাং-ইনকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তাগলিয়াফিকো। এক মিনিট পরই কান-ইনের কর্নারেই হেডে ব্যবধান গড়ে দেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার নেভেস। আসরে চতুর্থ হারের পর ২০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে লিওঁ।
এমআর/টিকে