সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের আত্মাহুতির পর প্রায় চার দশক পার হলেও গণতন্ত্র এখনও মুক্তি পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেছেন, ২৪-এর রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থানের পরও অনেকে স্বৈরতন্ত্রের ভূত কাঁধে নিয়ে হাটছেন। রাজনীতিতে নতুন কর্তৃত্ববাদ, নতুন জবরদস্তির আলামত দেখা যাচ্ছে।
আজ (সোমবার) এরশাদের সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের ৩৮তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে গুলিস্তানে নূর হোসেন স্কয়ারে নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, অনেকে গায়ের জোরে জনগণের ওপর নিজেদের দলীয় এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নতুন নতুন রুপে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের দূর্বলতা ও অকার্যকারিতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছে।
সাইফুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে চরম কর্ত্বতৃবাদী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীকে বিদায় দেওয়া হলেও তাদের শিকড় উপড়ে ফেলা যায়নি। আর এ কারণেই বারে বারে দমন ও নিপীড়নমূলক শাসন ফিরে আসছে।
গোটা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা নির্মূল ছাড়া গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না বলে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, শহীদ নূর হোসেন, ডাক্তার মিলন, আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধসহ শহীদেরা বৈষম্যহীন সাম্যভিত্তিক যে মানবিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য জীবন দিয়েছেন তা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই কেবল আমরা তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে পারি। এই সংগ্রামে নূর হোসেন, আবু সাঈদেরা অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করবেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম প্রমুখ।
আরপি/টিকে