সরকার ঘোষিত সময় অনুযায়ী আসছে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই প্রেক্ষিতে ইসি জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনি তফসিল। আর এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে ভোটের মাঠে নেমেছে। কিছু কিছু দল নির্বাচনের জন্য অনানু্ষ্ঠানিক মনোনয়ন দিলেও বাংলাদেশের বৃহত্তম দল বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি দলটির নেতারা ব্যস্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েও।
এদিকে আসনগুলোতে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই ভোটের মাঠে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। যদিও কিছু জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কিন্তু সেটা আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। বিএনপির এখন চিন্তার বিষয়, মাঠে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা।
এই হামলার ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। এমনকি এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, যদি সবকিছু উপেক্ষা করে তারেক রহমান দেশে ফেরেনও, তার এই প্রত্যাবর্তন কি নিরাপদ হবে?
সম্প্রতি চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গিয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন দলটির এককর্মী। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন এরশাদ উল্লাহ নিজেও। এ ঘটনা তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও তার নিরাপত্তার ওপর এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন সেঁটে দিয়েছে।
যদিও দলটির নেতারা বলছেন, ‘তারেক রহমান নিশ্চয়ই ফিরবেন।’ কিন্তু মাঠে-মহলে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তিনি কি ফিরতে পারবেন— নিরাপদ, নির্ভয়ে? নাকি রাজনৈতিক বাস্তবতা ফের সময়সূচি পালটে দেবে?
এমআর/টিএ