কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় লকডাউনের সময় নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় লকডাউনে নাশকতার চেষ্টায় প্রথম ধাপে ১৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আরও ২০ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশের দাবি তারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। এ নিয়ে মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য মো. আবু আক্কাস সিদ্দিক দরবেশ (৪৭), সন্তোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নজির হোসেন (৪২), ফুলবাড়ী উপজেলার ৫ নম্বর ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম (৬২), ৩ নম্বর ওয়ার্ড রাবাইতারী আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম (৫২), রাজারহাটের চাকিরপশার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলেম উদ্দিন মণ্ডল (৫৪), ভূরুঙ্গামারীর ৬ নম্বর ওয়ার্ড পাইকেরছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুল মালেক (৫০), আন্ধারীঝার ইউনিয়নের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আল আমিন হোসেন (৩৯), কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় সদস্য মো. রেজাউল করিম রতন (৪৫), নাগেশ্বরী পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার (৪৮), হাসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আলম (৪২), রায়গঞ্জ ইউনিয়ন কৃষকলীগের ওয়ার্ড সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বাচ্চু (৫০), জেলা আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় সদস্য মো. রানু (৩৩) এবং চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছক্কু মেম্বার।
এছাড়া উলিপুর উপজেলায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগানো, ভাঙচুর ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি করার প্রস্তুতির সময় আরও ৭ জনকে হাতেনাতে আটক করে উলিপুর থানা পুলিশ। তারা হলেন- উলিপুর উপজেলা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ, দুর্গাপুর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুদ্র, দুর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আশিক, শাহীন আলম সম্রাট, উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্রহ্মপুত্র ভাঙন থেকে হাতিয়া বাঁচাও কমিটির সভাপতি বিএম আব্দুল ওহাব শাহ, ছাত্রলীগের কর্মী জাহিদ হাসান নিশান এবং হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক মো. রাজু মিয়া।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম জানান, তথাকথিত লকডাউনকে কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টায় এর আগে ১৩ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনা ও সহযোগিতার অভিযোগে আরও ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
কেএন/টিএ