বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন বেশি বেশি গণতন্ত্রের চর্চা আলোচনা হচ্ছে। এখান থেকেই সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের সৌরভ তৈরি হবে। জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচিত পার্লামেন্টে দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছাবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ : জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তানের সময় থেকে গণতন্ত্রকে বারবার হরণ করা হয়েছে, নষ্ট করা হয়েছে। এবার জুলাই যোদ্ধারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন গণতন্ত্রকে। এই প্রচেষ্টা ধরে রাখবে বিএনপি এবং যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে পারব ততই মঙ্গল হবে। বর্তমানে হতাশার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব দেশের মানুষ এখন কিছুই বুঝে না। আগে থেকে তৈরি করে নিতে হয়। পিআর এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য নয়। বিএনপি এখনও চায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সরকার গঠন করবে। নির্বাচনই এর একমাত্র বিকল্প। রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার বলেন, আগামী দিনে বিপদে ঠেলে দেবার ব্যবস্থা হচ্ছে নির্বাচন।
৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি বর্ডার থাকলেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আধিপত্য আমরা মেনে নেব না মন্তব্য করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী, বলেন, সর্ববৃহৎ দলের দেওয়া নোট অব ডিসেন্ট খুব একটা গণতান্ত্রিক নয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারতে বসে বসে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে রাজনৈতিক কোন দল তেমন কিছু বলছে না। এমন কর্মকাণ্ডে শেখ হাসিনা টেরোরিস্ট নেতাতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের যদি নির্বাচন না হয় এবং অস্থির অবস্থা চলমান থাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ভারত। আর কোন জটিলতা তৈরি না করে এখন নির্বাচনী দলগুলোর উচিত হবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের টানাটানি মধ্যে বাংলাদেশ পুনরায় নিমজ্জিত হচ্ছে। জুলাই সনদে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর দীর্ঘমেয়াদে একটি অচলাবস্থায় নিয়ে যাবে দেশকে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের দিনে গণভোট হবে। সেই ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপিকে এখন সংস্কারের নেতৃত্ব দেওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে গণ্ডগল হলে সব দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্মিলিত অর্জন। কোন রাজনৈতিক দলের একক অর্জন নয়।
ইউটি/টিএ