শৈশবের প্রতিদিনের রুটিন, ঘুম ভাঙার অ্যালার্ম, ব্যাগ কাঁধে স্কুলে যাওয়ার তাড়াহুড়ো- তখন সবই যেন বিরক্তির মনে হতো সোনাক্ষী সিনহার। স্কুলে যাওয়ার সময় তাঁর চোখে জল এসে যেত, আর প্রতিটি সকাল ছিল যেন এক অজানা আপত্তির যুদ্ধ। কিন্তু সময়ের স্রোত যখন তাকে স্কুলের গণ্ডি থেকে দূরে নিয়ে গেল, তখনই বুঝলেন- যা ছেড়ে এসেছেন, তা হারানোর মতোই গভীর।
সোনাক্ষী জানান, ফেয়ারওয়েলের দিন তিনি প্রথম অনুভব করেন স্কুলের আসল মূল্য। যাদের সঙ্গে বকাঝকা করতেন, হাসিখুশি কাটাতেন, সেই বন্ধুরাই তখন হয়ে উঠেছিল তাঁর জীবনের অমূল্য অংশ। সেদিন মনে হয়েছিল, প্রতিটি ক্লাস, প্রতিটি দুষ্টুমি আর প্রতিটি স্মৃতি যেন অজান্তেই তাঁকে গড়ে তুলেছে।
তার কথায়, মানুষ জীবনের প্রতিটি পর্যায় ছাড়ার পরই বোঝে- কিছু জায়গা কেমন করে নিজের মধ্যে স্থায়ী গন্ধ রেখে যায়। স্কুল সেই জায়গাগুলোর একটি, যেখানে থাকা যায় অল্প সময়, কিন্তু যেটি মনে থেকে যায় আজীবন।
কেএন/টিকে