জাপানে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা ও জাতীয় পেনশন পরিশোধ কাঠামো আরও কঠোর করছে দেশটির প্রশাসন। সরকার জানিয়েছে যারা নিয়মিত অর্থপ্রদান করবে না, তাদের ভিসা নবায়নের অনুমোদন দেয়া হবে না। ২০২৭ সালের জুন থেকে এই নীতি কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানে তিন মাসের বেশি বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকের জাতীয় পেনশন এবং স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকেই নিয়মিত অর্থপ্রদান করেন না।
দেশটির কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এক অর্থবছরে বিদেশি বাসিন্দাদের পরিশোধযোগ্য মোট পেনশনের প্রায় ৫০ শতাংশই বকেয়া রয়ে গেছে। স্থানীয় সরকারের গড় হিসেব অনুযায়ী বিদেশি বাসিন্দারা স্বাস্থ্যবিমা প্রিমিয়ামের মাত্র ৬৩ শতাংশ পরিশোধ করেছেন।
সরকার বলছে, অনেকেই দেশের বাইরে থেকে এসে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে বিল বকেয়া রেখে যান। ফলে স্থানীয় সরকারের আর্থিক চাপ বাড়ছে। এসব কারণেই সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
নীতি পরিবর্তন কার্যকর হলে, যেসব বিদেশি নাগরিক পেনশন বা স্বাস্থ্যবিমা নিয়মিত পরিশোধ করবেন না, তাদের ভিসা নবায়ন কিংবা রেসিডেন্স স্ট্যাটাস পরিবর্তন নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হবে না। এটি ২০২৭ সালের জুন থেকে বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে। জাপানে অধ্যয়নরত অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী মনে করছেন, এই নীতি তাদের উপর বাড়তি আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে।
এদিকে, আগামী বছর এপ্রিল থেকে সরকার নতুন একটি ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে, যাতে বিদেশ থেকে জাপানে আগতরা এককালীন স্বাস্থ্যবিমা গ্রহণ করতে পারে।
এমআর/টিকে