ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ১১তম

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দূষিত। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমান কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।

৪০২ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ভারতের রাজধানী ‘দিল্লি’, যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। একই সময় ২১৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার শহর ‘উলানবাটোর’।

এদিকে ২১৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেকটি শহর ‘কলকাতা’, যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। আর ৭৭ স্কোর নিয়ে এই তালিকার ১১তম অবস্থানে আছে রাজধানী ‘ঢাকা’।

আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।

টিজে/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আচরণবিধি মানলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: সিইসি Nov 19, 2025
img
বিজয় দিবসে অস্থিরতার আশঙ্কা নেই, এবারও প্যারেড হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
আজ তারা সুতারিয়ার জন্মদিন Nov 19, 2025
img
ভূমি ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্যোগ নিলো ঢাকা ওয়াসা Nov 19, 2025
img
স্ত্রীর প্রতি মুশফিকের বিশেষ কৃতজ্ঞতা Nov 19, 2025
img
ময়মনসিংহে ট্রেনে আগুন দিল দুর্বৃত্ততা Nov 19, 2025
img
সেই দিন খুব দূরে নয়, বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ খেলবে : আসিফ মাহমুদ Nov 19, 2025
img
ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য এবার জার্মান দূতাবাসের সতর্কবার্তা Nov 19, 2025
img
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা Nov 19, 2025
img
সুর ঠিক না রাখতে পারলে শিল্পী হওয়াই উচিত না : রুনা লায়লা Nov 19, 2025
img
পানি এখানেই থামবে না আরো বহুদূর গড়াবে, হাসিনার বিচার প্রসঙ্গে রনি Nov 19, 2025
img
জকসুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিএস পদে লড়াই করবেন বাঁধনের সভাপতি মাবুদা Nov 19, 2025
img
৯০ সেকেন্ডের ‘বেবি শার্ক’ ভিডিও, ৪০ কোটি ডলারের ব্যবসা Nov 19, 2025
img
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত মামদানির Nov 19, 2025
img
‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’ প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে দ্বিতীয় নওগাঁর রুফাইদা Nov 19, 2025
img
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ : সিইসি Nov 19, 2025
img
তুর্কির সঙ্গে ড্র করে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল স্পেন Nov 19, 2025
img
শততম টেস্টে মুশফিককে বিশেষ সম্মাননা দেবে বিসিবি Nov 19, 2025
img
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করতে দেব না : ফজলুর রহমান Nov 19, 2025
img
ইংল্যান্ডের পথে হামজা, সিলেটে সামিত Nov 19, 2025