২০১৬ সালের জুনে শিশুদের জন্য তৈরি মাত্র ৯০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিম মিন-সক। তখন তিনি ভাবতেও পারেননি, এই গানই বিশ্বব্যাপী রেকর্ড গড়ে দেবে।
ইউটিউবে ১৬ বিলিয়নেরও বেশি ভিউ পাওয়া ‘বেবি শার্ক’ শুধু শিশুদের মন জয়ই করেনি, বিশ্বজুড়ে বড়দেরও নজর কেড়েছে। এই গানই নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পিঙ্কফংকে শত মিলিয়ন ডলারের মিডিয়া কোম্পানিতে পরিণত করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ারবাজারে পিঙ্কফং-এর আত্মপ্রকাশ হয়। প্রথম দিনেই শেয়ারদর বেড়ে যায় ৯ শতাংশ এর বেশি। ফলে কোম্পানির মূল্য দাঁড়ায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০ কোটি ডলার।
২০১০ সালে স্মার্টস্টাডি নামে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি। তখন কর্মী ছিলেন মাত্র তিনজন-কিম মিন-সক ও প্রযুক্তি প্রধান ডংউ সনসহ।
অফিস এতটাই ছোট ছিল যে, বেতন পাওয়ার আশা পর্যন্ত করিনি বলে স্মৃতি চারণ করেন কিম। সহজ, শিক্ষামূলক গেম ও ভিডিওর ওপর জোর বাড়াতেই জন্ম নেয় ‘বেবি শার্ক’ ।
২০২২ সালে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পিঙ্কফং, যা একটি চঞ্চল শিয়াল চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত।
বর্তমানে কোম্পানিতে ৩৪০ জন কর্মী এবং টোকিও, সাংহাই ও লস অ্যাঞ্জেলেসে অফিস রয়েছে।
‘বেবি শার্ক’ গানটির উৎপত্তি ১৯৭০ এর দশকে আমেরিকায় হলেও পিঙ্কফং-এর দ্রুত গতির, কে-পপ ধাঁচের সংস্করণটি শিশুদের কাছে অসাধারণ আকর্ষণীয় হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিশুদের ইভেন্টে গানটির ডান্স রুটিন ভাইরাল হওয়ার পর ভিডিওটি ঝড় তোলে।
২০২০ সালে এটি ইউটিউবের সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিওর খেতাব পায়।
এই গান থেকেই কয়েক বছর ধরে কোম্পানির অর্ধেকের মতো আয় এসেছে এবং অসংখ্য কনটেন্ট ও পণ্যের বাজার তৈরি হয়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানি ৫২ মিলিয়ন ডলার তুলেছে। এই টাকা নতুন চলচ্চিত্র, চরিত্র এবং ডেটা-ভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর কন্টেন্ট তৈরিতে ব্যয় করবে।
টিজে/এসএন