নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির একটি অংশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে কবিরহাট বাজারে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী ফখরুল ইসলামের পরিবর্তে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে—‘পরিবর্তন চাই, কবিরহাটের মনোনয়ন চাই’, ‘আবেদ ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘অবৈধ ঘোষণা মানি না, মানব না’সহ নানা স্লোগান দেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের দিকে কাফনের কাপড় পরে আবেদপন্থি নেতাকর্মীরা কবিরহাট কলেজের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কবিরহাট জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতুর রহমান হাসান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
কাফনের কাপড় পড়ে মিছিলে অংশ নেওয়া মো. হারুন নামের বিএনপিরি এক সমর্থক বলেন, মানুষ বিএনপি ও ধানের শীষের সঙ্গেই থাকতে চায়, কিন্তু নেতৃত্বে পরিবর্তনও চায়। ফখরুল ইসলাম জামায়াতের প্রোডাক্ট। আমরা বিএনপিতে বিএনপির লোক চাই। এস আলমের দোসরকে আমরা চাই না। তিনি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে পঙ্গু করে দিয়েছেন। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের আসনের বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন চাই।
এ বিষয়ে বিএনপির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ৩৯ বছর ধরে দলের কর্মী। গত দুই বছর ধরে কবিরহাট কোম্পানীগঞ্জে সময় দিচ্ছি। স্থানীয় বিএনপির মানুষ আমাকে চায়, এটা আমার সফলতা। তারা আমাকে ভালোবেসে এমন মিছিল করেছিল। দলের সিদ্ধান্ত দল নেবে, সে বিষয়ে আমার বলার কিছু নাই।
বিএনপির প্রার্থী ফখরুল ইসলাম দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি বলেছি, একটা অনিয়ম অথবা জামায়াতের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। তারা যা করেছে এটা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ। দলের নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে সেটা কেন্দ্র দেখবে। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।