মঙ্গলবার (১৮ই অক্টোবর) রাওয়ালপিন্ডির গোরখপুর চেকপয়েন্টে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মীদের একটি ধরনা পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এই অভিযানে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের তিন বোন আলেমা খানম, আজমা খান এবং নওরিন নিয়াজিকে আটক করা হয়েছে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযানের সময় পুলিশ কর্মীদের সাথে পিটিআই কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। ইমরান খানের বোন ছাড়াও কাসিম খান এবং আরও ২০ জন পিটিআই কর্মী-কে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য চাকরি ইন্টারচেঞ্জের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির প্রধান সড়কগুলিতে দীর্ঘস্থায়ী বিক্ষোভ প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর এই কঠোর পদক্ষেপ সরকার ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এসেছে।
এর আগে, সিনেটর ফয়সাল ভাওদা মন্তব্য করেন যে, ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীটি সেনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করতে সরকারকে সাহায্য করার পর পিটিআই-এর আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ পেয়েছে।
ভাওদা এক বিবৃতিতে বলেন, 'পিটিআই বড় দাবি করে, কিন্তু কিছুই করে না। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং তাদের আসল চেহারা এখন জাতির সামনে প্রকাশ পেয়েছে।' তিনি আরও বলেন, বিরোধীদের পক্ষ থেকে সংশোধনীটির পক্ষে কোনো বিতর্ক বা বিরোধিতা না আসায় এটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। তিনি দাবি করেন, জাতীয় পরিষদেও এই সংশোধনীটি সহজেই অনুমোদিত হবে, কারণ 'পিটিআই পক্ষে ছিল; তারা শুধু জনগণের জন্য নাটক করছে।'
ভাওদা আরও উল্লেখ করেন যে, পিটিআই সিনেটররা বিরোধী ভোট যেখানে প্রয়োজন সেখানে ব্যর্থ হলেও, সরকারের প্রয়োজনে সহায়তা করেছেন। তিনি ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেওয়ায় পিটিআই সিনেটর সাইফুল্লাহ আবরো-এর প্রশংসা করেন এবং জানান যে পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য এই সংশোধনীটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এসএস/টিএ