জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্যই জবি শাখা ছাত্র অধিকার সভাপতি এ কে এম রাকিবকে প্যানেলে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে আমরা একটি সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেছি। ছাত্র অধিকার পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাকিব শুধু ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি ছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাণভোমরা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন তার অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে।
যার কারণে একই সঙ্গে ছাত্রদলের উদারতা যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি বলা যায় এটা রাকিবেরই একটি বিশেষ কৃতিত্ব।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সমর্থিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘শাখা ছাত্র অধিকার ও ছাত্রদলের জোটে কেউ কারো মতাদর্শ ভুলে অংশগ্রহণ করেনি। এটি নির্বাচনী জোট, কোনো রাজনৈতিক জোট নয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের চাপে প্রভাবিত হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘যেই হারে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা, সেই হারে হচ্ছে না। প্রশাসন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে না নিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দিচ্ছে। কারণ জগন্নাথ থেকে নিলে তারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সম্পূরক বৃত্তির রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না।
নভেম্বরের তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও প্রশাসন তা করেনি। প্রশাসনকে বলতে চাই, আন্দোলনে নামার আগেই সঠিকভাবে কাজ করুন।’
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান' নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়। ওই প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব, জিএস পদে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা ও এজিএস পদে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য বি এম তানজিলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।