বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বন্দর রক্ষা ও করিডোর বিরোধী আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের লালদিয়া চর ৩৩ বছর এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল ২২ বছরের জন্য ডেনমার্কের একটি কোম্পানির কাছে ইজারা চুক্তি বাতিল এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
ডা. এম এ সাঈদের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন রেজা, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াত, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন ও ছাত্রলীগ-বিসিএলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশও মানা হচ্ছে না। ২০০৬ সালে নোবেল পাওয়ার পর দেশে ফিরে ড. ইউনূস বন্দর উন্মুক্ত করার কথা বলেছিলেন-আজ বন্দর বিদেশিদের ইজারা দিয়ে সেই স্বপ্নই বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তোষণ করতেই বন্দর ইজারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার চুক্তি থেকে না সরে এলে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. এম এ সাঈদ বলেন, দেশের জাতীয় ও কৌশলগত সম্পদের মালিক জনগণ। তাদের অন্ধকারে রেখে বন্দর ইজারা দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই। দেশীয় সক্ষমতা বাড়িয়ে বন্দর নিজেরাই পরিচালনা করতে হবে। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আগামীদিনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. শাহীন রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. এসএম ফজলুর রহমান ও ছাত্রলীগ-বিসিএলের সভাপতি গৌতম শীলসহ অনেকে।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্ট ঘুরে পুনরায় পুরানা পল্টন মোড়ে এসে একটি মশাল মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
টিজে/টিকে