মাত্রই দুদিন আগে যে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল, তার আতঙ্ক থেকে এখনও বের হতে পারেনি দেশবাসী।
শুক্রবারের সেই ভূমিকম্পের প্রভাবে এরই মধ্যে তিনবার আঘাত এনেছে আফটার শক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শঙ্কা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। চলতি মাসে আঘাত হানতে পারে আরও বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প।
এরই মধ্যে রোববার (২৩ নভেম্বর) এশিয়ার আরও তিনটি দেশে বড় ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।
এদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে প্রবল ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। রিখটার স্কেলে এ ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দাওয়েই শহর থেকে ২৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে আন্দামান সাগরে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
একইদিন ইন্দোনেশিয়ায়ও ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটির পূর্বাঞ্চলের উত্তর মালুকু প্রদেশের হালমাহেরা অঞ্চল।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূকম্পন সংস্থা (বিএমকেজি) জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্প হয়। এতে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনার পরদিনই শনিবার (২২ নভেম্বর) আরও তিনবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে দেশে। এগুলো ভূমিকম্পের আফটারশক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের ভূকম্পনবিদ্যা সংস্থা (এনসিএস) জানিয়েছে, বাংলাদেশের মতো মিয়ানমারেও শনিবার (২২ নভেম্বর) একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে সেখানে ৩ দশমিক ৫ মাত্রার ও সকাল ৭টা ১৯ মিনিটে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর রাত ১১টা ১ মিনিটে মিয়ানমারে আরও একটি ৩ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এসব কম্পনেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এমআর/টিকে